টানা তিনবার লন্ডনের মেয়র হলেন সাদিক খান
টানা তিনবার লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাদিক খান। এ জয়ের মাধ্যমে ইতিহাস তৈরি করেছেন তিনি। সাদিক খান লেবার পার্টির প্রার্থী ছিলেন। ২০১৬ সালে প্রথম মেয়র হয়েছিলেন তিনি। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের খবর হলো সাদিক খানের বাবা ছিলেন একজন বাসচালক।
আজ রবিবার (৫ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অপরাধ দমন ও বিশুদ্ধ বায়ুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। নির্বাচনে ৪৩ দশমকি ৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন সাদিক খান। অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ৩২ দশমকি ৭ শতাংশ ভোট। তিনি নির্বাচনী ১৪টি এলাকার মধ্যে ৯টিতেই বিজয়ী হয়েছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এরপর শুক্রবার থেকে ভোটগণনা করা হয়। শনিবার বিকেল চারটা পর্যন্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায় সাদিক খান পেয়েছেন ১০ লাখ ৮৮ হাজার ২২৫ ভোট। অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পেয়েছেন ৮ লাখ ১১ হাজার ৫১৮ ভোট।
সাদিক খান ১৯৭০ সালের ৮ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মের দুই বছর আগে বাবা মা পাকিস্তান থেকে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। বাবা ছিলেন পেশায় বাসচালক আর মা দর্জির কাজ করতেন। সাত ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি পঞ্চম।
আলোচিত এ রাজনীতিবীদ ইউনিভার্সিটি অব নর্থ লন্ডন থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন। এরপর মানবাধিকারবিষয়ক আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। অল্প বয়সেই লেবার পার্টির রাজনীতিতে সক্রিয় হন তিনি।
মাত্র ২৪ বছর বয়সে প্রথম জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯৪ সালে লন্ডনের ওয়ান্ডসওর্থ বারার কাউন্সিলর হয়েছিলেন তিনি। ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সালে যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেন এবং টুটিং আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
সাদিক খান ২০০৮ সালে গর্ডন ব্রাউন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে স্থানীয় সরকারের পার্লামেন্টারি আন্ডার সেক্রেটারি এবং পরে যোগাযোগমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এ ছাড়া বিরোধী দল থেকে তিনি বিচারবিষয়ক ছায়ামন্ত্রী, ছায়া অর্থমন্ত্রী ও লন্ডনবিষয়ক ছায়া মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন। এরপর ২০১৬ সালে লন্ডনের মেয়র পদে নির্বাচনের জন্য পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।
আলোচিত এ রাজনীতিবীদের খেলাধুলা নিয়েও আগ্রহ রয়েছে। ফুটবল ক্রিকেট এবং বক্সিং তার পছন্দের খেলা। ২০১৪ সালে তিনি লন্ডন ম্যারাথনের অংশ নেন। এছাড়া ২০১৮ সালের টাইম ম্যাগাজিনে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় জায়গা করে নেন তিনি।