মালয়েশিয়ায় চলছে ইসরায়েলি পণ্য বয়কট; কেএফসির শতাধিক আউটলেট বন্ধ
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় নির্মম ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের অমানবিক এসব হামলায় এখন পর্যন্ত সাড়ে ৩৪ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ৭৭ হাজারের অধিক মানুষ। দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছে ১০ লাখের অধিক ফিলিস্তিনি। এছাড়াও গাজার অর্ধেকের বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েলের বর্বর এসব হামলার প্রতিবাদে সেদেশের পণ্য বয়কট করছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলিম দেশ মালয়েশিয়া।
মালয়েশিয়ায় সাময়িকভাবে ১০০টিরও বেশি আউটলেট বন্ধ করে দিয়েছে মার্কিন ফাস্ট-ফুড চেইন কেএফসি। গাজায় চলমান যুদ্ধের কারণে ফিলিস্তিনের পক্ষে বয়কটের জেরে বিশ্বজুড়ে মার্কিন-সংশ্লিষ্ট ব্যবসাগুলো এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। কম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আর্থিক চ্যালেঞ্জের কারণে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় কেএফসি মালিক ও পরিচালক প্রতিষ্ঠান হলো কিউএসআর ব্র্যান্ডস। এই প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যা পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় কেএফসির ১০৮টি শাখা সাময়িকভাবে কার্যক্রম স্থগিত করেছে এবং দেশটির কেলানতানে প্রায় ৮০ শতাংশ শাখা অস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে জোহরে ১৫টি শাখা (সাময়িকভাবে বন্ধ), কেদাহ (১১), তেরেঙ্গানু (১০), পাহাং (১০), পেরাক (৯), নেগেরি সেম্বিলান (৬), পেরলিস (২), মেলাকা (২), পেনাং (৫), কুয়ালালামপুর (৩), সাবাহ (১) এবং সারাওয়াকে ২টি শাখার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মালয়েশিয়ায় সাময়িকভাবে ১০০টির বেশি আউটলেট বন্ধ করেছে কেএফসি। এসব আউললেটের বেশিরভাগ উত্তর-পূর্ব কেলান্টান রাজ্যে অবস্থিত।
গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের যে একতরফা সমর্থন তার প্রতিবাদে দেশটিতে কয়েক মাস ধরে ইসরায়েলি ও মার্কিন পণ্য বয়কটের আন্দোলন চলছে। জনগণের এই বয়কট আন্দোলনের জেরে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে কেএফসি।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের ওপর আক্রমণ চালাতে শুরু করে ইসরায়েল। তখন থেকেই তাদের আর্থিকভাবে সাহায্য করার অভিযোগ ওঠে কেএফসির বিরুদ্ধে।
সূত্র: রয়টার্স