যুক্তরাষ্ট্রে আসামি ধরতে গিয়ে বন্দুক হামলায় ৪ পুলিশ নিহত; আহত ৪
বিশ্বের শক্তিশালী ও উন্নত দেশ বলা হয় যুক্তরাষ্ট্রকে। তবে দেশটিতে প্রায়ই বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে। এ সপ্তাহেই নিউইয়র্কে বন্দুক হামলায় দুই বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এবার যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার দায়ে এক আসামিকে আটক করতে গিয়ে বন্দুক হামলায় চার পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের শার্লট শহরে বন্দুক হামলা ও প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের শার্লটে ওয়ারেন্ট বাস্তবায়নের সময় চারজন আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এবং এই ঘটনায় অন্য আরও ৪ জন আহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, অন্তত একজন সন্দেহভাজন হামলাকারীকে ব্যারিকেড দেওয়া বাড়ির সামনে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। গোলাগুলি ও বন্দুক হামলার এই ঘটনা প্রায় তিন ঘণ্টা স্থায়ী ছিল।
হামলায় দুই বন্দুকধারী জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আহত অফিসাররা ইউএস মার্শাল সার্ভিসের নেতৃত্বাধীন টাস্ক ফোর্সের অংশ।
বিবিসি বলছে, শার্লটের শহরতলীর রাস্তায় যখন বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয় তখন এসব পুলিশ কর্মকর্তা আগ্নেয়াস্ত্র রাখার দায়ে এক অপরাধীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছিলেন।
শার্লট-মেকলেনবার্গ পুলিশ প্রধান জনি জেনিংস একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কর্মকর্তাদের দিকে গুলি ছোড়া হলেও তারাও পাল্টা গুলি চালায়। সে সময় বাড়ির ভেতরে থেকে তাদের ওপর অনবরত গুলি ছোড়া হয়। তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আজ আমরা আমাদের কয়েকজন বীরকে হারালাম যারা আমাদের সম্প্রদায়কে নিরাপদে রাখতে কাজ করে যাচ্ছিলেন। তিনি আরও বলেন, গত ৩০ বছরে এমন ভয়াবহ হামলা তিনি আর দেখেননি।
সোমবার শহরের পূর্বের একটি আবাসিক এলাকায় হামলা শুরু হওয়ার দুই ঘণ্টারও বেশি সময় পরও গোলাগুলি চলছিল। পরে গালওয়ে ড্রাইভে পুলিশ বাড়িতে হামলা চালালে ঘটনাটি শেষ হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তির সঙ্গে বাড়ির ভেতরে থাকা আরও দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।