যুক্তরাষ্ট্রের ইহুদিবিরোধী আন্দোলন এবার ইউরোপে
বেশ কয়েক দিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন চলছে। এজন্য শিক্ষার্থীদের গণগ্রেপ্তারও করছে দেশটি। এবার সেই আন্দোলনের স্রোত আমেরিকা পাড়ি দিয়ে ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছে। শুক্রবার লন্ডন ও কভেন্ট্রিতে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন ব্রিটিশ শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে ইহুদি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের বরাত দিয়ে ইরানি সংবাদ সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, এদিন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের (ইউসিএল) সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা জড়ো হয়ে ইসরায়েলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্কের প্রতিবাদ করেছেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, সেন্ট্রাল লন্ডনের গাওয়ার স্ট্রিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ক্যাম্পাসের বাইরে শিক্ষার্থীরা ভিড় করেছেন। এ সময় তাদের হাতে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ‘অ্যাকশন ফর প্যালেস্টাইন’ গ্রুপ এই বিক্ষোভের আয়োজন করেছে। এ ছাড়া শুক্রবার ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ ইংল্যান্ডের ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভ করেছেন।
এদিকে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে এখনো উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীরা তাঁবু গেড়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। রাতদিন বিভিন্ন সময় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে মিছিল নিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখছেন।
আন্দোলেনের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অনুষ্ঠানও বয়কট করছেন।
এমন পরিস্থিতিতে আন্দোলন দমাতে বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রেছেছে দেশটির পুলিশ। ইতিমধ্যে কয়েকশ শিক্ষার্থী পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে গ্রেপ্তার, ধস্তাধস্তি, হুমকি, বিভিন্নভাবে চাপপ্রয়োগ করেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে পারছে না মার্কিন প্রশাসন।
গেল ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এ হামলায় উপত্যকাটিতে ৩৪ হাজার ৩৫৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে সেখানে। জাতিসংঘ বলছে গাজার প্রায় ১০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মধ্যে আছে, যা উপত্যকাটির জনসংখ্যার অর্ধেক।