ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন
গত ছয় মাসের অধিক সময় ধরে ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির বর্বর এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৪৮৮ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া উপত্যকাটির অর্ধেকের বেশি এলাকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ছে গাজার ১০ লাখের অধিক মানুষ। ইসরায়েলের মানবতাবিরোধী এসব কর্মকাণ্ডের পর নতুন করে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। বর্বর, নৃশংসতা ও গণহত্যা দেখে ইতোমধ্যেই কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এবার প্রথমবারের মতো রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে সম্মত হয়েছে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আগামী মে মাস শেষ হওয়ার আগেই জোটের অধিকাংশ দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিভাগের প্রধান জোসেপ বরেল। খবর আল আরাবিয়া।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে চলছে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক জোট ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বিশেষ সম্মেলন।
ইইউ প্রতিনিধি হিসেবে সেই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন বরেল। সম্মেলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বরেল বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য স্পেন, আয়ারল্যান্ড, মাল্টা এবং স্লোভেনিয়া এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে।
গত মার্চ মাসেই এই তিনটি দেশ জানিয়েছিল, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে কাজ করছে তারা।
এই সংবাদের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলে তা হবে ‘সন্ত্রাসের জন্য পুরস্কার ঘোষণা’র শামিল।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের উপর প্রতিশোধস্বরূপ ফিলিস্তিনের গাজায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। হামাস নির্মূলের নামে টানা সাড়ে ছয় মাস ধরে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে নির্বিচার হামলা ও অভিযান চালাচ্ছে দখলদার রাষ্ট্রের সেনারা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে সেখানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৪ হাজার ৯৭ জন সাধারণ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৬ হাজার ৯৮০ জন।