ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র করার বিষয়ে ভোটাভুটি বৃহস্পতিবার
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলার পর নতুন করে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি উঠেছে। এবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হওয়ার জন্য ফিলিস্তিনিদের আবেদনের ওপর বৃহস্পতিবার ভোট হবে। কূটনৈতিক একটি সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ কথা জানিয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের মধ্যে, এপ্রিলের শুরুতে ফিলিস্তিনিরা সদস্যপদ পুনরুজ্জীবিত করে।
২০১১ সালে বিশ্ব সংস্থায় প্রথম এই আবেদন করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র ভেটো প্রয়োগ করে বারবার এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আসছে।
সাধারণ পরিষদ দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে একটি নতুন সদস্য রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে পারে, তবে তা নিরাপত্তা পরিষদ এর সুপারিশ দেয়ার পর।
আঞ্চলিক ব্লক আরব গ্রুপ মঙ্গলবার একটি বিবৃতি জারি করে ফিলিস্তিনিদের আবেদনের প্রতি তাদের ‘অটল সমর্থন’ নিশ্চিত করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের প্রাসঙ্গিক রেজুলেশনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ফিলিস্তিন সমস্যার স্থায়ী সমাধানে জাতিসংঘের সদস্যপদ একটি ন্যায়সঙ্গত এবং সঠিক পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
সাধারণ পরিষদে ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হোক’ এই মর্মে সুপারিশ প্রদানের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য আলজেরিয়া খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করেছে।
গাজার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে কয়েক সপ্তাহ আগে নির্ধারিত বৃহস্পতিবারের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এই ভোটাভুটি হচ্ছে, বেশ কয়েকটি আরব দেশের মন্ত্রীগণ এতে অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনিরা ২০১২ সাল থেকে জাতিসংঘে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা পেয়ে আসছে। পূর্ণ সদস্যপদ লাভের জন্য বছরের পর বছর ধরে লবিং করে আসছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ড. রিয়াদ মনসুর বলেছেন, আমরা পূর্ণ সদস্য হতে চাইছি। এটা আমাদের স্বাভাবিক ও আইনগত অধিকার।
ফিলিস্তিনিদের পক্ষে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৩৭টি ইতিমধ্যেই একটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। সাধারণ পরিষদে তাদের অনুরোধ সমর্থন করা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।