বাইডেনের বৈঠক থেকে বেরিয়ে গেলেন মার্কিন মুসলিম চিকিৎসক

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০০ PM

গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলিদের নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠক থেকে বের হয়ে গেছেন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত একজন মার্কিন চিকিৎসক। তাঁর নাম ডা. থায়ের আহমেদ। তিনি আমেরিকার শিকাগোর একটি হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন।

সিএনএন জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের অল্প সংখ্যক মুসলিম আমেরিকান কমিউনিটি নেতাদের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ সময় ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান ও অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়, যা এখনো চলমান। এ যুদ্ধে শুরু থেকেই ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে আসছে আমেরিকা। এ কারণে গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন প্রতিবাদমূলক ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

সিএনএন জানায়, প্রথমে হোয়াইট হাউসে মুসলিম আমেরিকান কমিউনিটি নেতাদের সঙ্গে ইফতার ও নৈশভোজে অংশ নেওয়ার কথা ছিল জো বাইডেনের। পরে গাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি দুর্ভিক্ষে থাকার প্রেক্ষাপটে মুসলিম নেতারা খাবার খেতে অস্বীকৃতি জানালে শুধু বৈঠকের আয়োজন করা হয় হোয়াইট হাউসে।

বৈঠকের পর হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা বলেন, মুসলিম কমিউনিটির নেতাদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠকটি ছিল গভীর বিষাদময়। তিনি গাজায় নিহত প্রতিটি নিরপরাধ মানুষের জন্য গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। একই সময়ে তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির ব্যাপারে কাজ চালিয়ে যেতে তাঁর অঙ্গীকার পুর্নব্যাক্ত করেন।

এদিকে বৈঠক থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় ডা. থায়ের আহমেদ বলেন, ‘আমি গাজায় বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে দেখেছি, সেখানে কী অবর্ণনীয় কষ্ট ভোগ করছে ফিলিস্তিনিরা। আর এই বৈঠকে দুঃখজনকভাবে আমিই একমাত্র ফিলিস্তিনি। আমি আমার সম্প্রদায়ের প্রতি সম্মান জানিয়ে বৈঠক ত্যাগ করছি।’

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈঠক থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় ডা. থায়ের রাফাহর আট বছর বয়সী এতিম শিশু হাদিলের লেখা একটি চিঠি বাইডেনের হাতে তুলে দেন।