সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজে অভিযান চায় না বাংলাদেশ
সম্প্রতি ভারত মহাসাগর থেকে এমভি আব্দুল্লাহ নামে এক বাংলাদেশি জাহাজ জিম্মি করে সোমালি জলদস্যুরা। জাহাজটিতে থাকা ২৩ জন নাবিককেও জিম্মি করে তারা। জিম্মি নাবিক উদ্ধারে এখনও তাদের দিক থেকে আসেনি মুক্তিপণের দাবি। এদিকে সোমালি জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযানের পক্ষে নয় বাংলাদেশ। সে দেশের পুলিশ ও আন্তর্জাতিক সামরিক চাপে তারা কোণঠাসা হলেও, যোগাযোগের চেষ্টা চলছে তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে।
গত ১২ মার্চ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এর আট দিন পর তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে হয় মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ। তবে সে আলোচনায় এখনও আসেনি মুক্তিপণের দাবি।
উল্টোদিকে সেই জাহাজটি ঘিরে চলছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অপারেশন আটলান্টা, ভারতীয় নৌবাহিনী ও সোমালীয় পুলিশের নানা তৎপরতা। এতে বেশ কয়েকবার অবস্থান বদল করেছে জলদস্যুরা।
তবে এই সামরিক তৎপরতা নিয়ে ভিন্ন মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, নাবিকদের সুরক্ষার পাশাপাশি কয়লাবাহী জাহাজে সামরিক অভিযান বিপজ্জনক হতে পারে। তাই জিম্মি উদ্ধারে আলোচনার পথকেই ঠিক মনে করছেন তারা।
মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনাম চৌধুরী জানান, এই জাহাজের মালিক ও নাবিক বাংলাদেশি। এ কারণে আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যা সমাধান করা উচিত। অভিযানের দিকে এগোলে ফল ভাল নাও হতে পারে।
নৌ-বাণিজ্য দপ্তরও বলছে, আপাতত আলোচনার মাধ্যমেই জিম্মি উদ্ধারের পথে রয়েছেন তারা। তবে সে আলোচনার ধীরগতি নিয়েও আছে উদ্বেগ।
নৌ-বাণিজ্য দপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের কাছে জাহাজ ও নাবিকদের নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাদের যেন কোনো রকম ঝুঁকিতে পড়তে না হয়, সেভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
জাহাজটিতে দেখা দিতে পারে রসদ সংকটও। তাই নাবিকদের জন্য খাবার ও পানি সরবরাহের উপায় খুঁজছে মালিকপক্ষ।