প্রথমবার জিম্মি জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলো জলদস্যুরা
ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মির ৯ দিনের মাথায় সোমালি জলদস্যুরা জাহাজটির মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আজ বুধবার (২০ মার্চ) প্রথমবারের মতো তারা মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাহাজটির মালিকপক্ষ চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম। তিনি বলেন, 'জলদস্যুরা আজই প্রথম ফোন করেছে। এখন আলোচনার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। এখন আমরা জিম্মিদের মুক্ত করতে সামনের দিকে এগিয়ে যাব।'
সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, যেহেতু যোগাযোগ শুরু হয়েছে, এখন জলদস্যুরা মুক্তিপণ দাবি করতে পারে। দর-কষাকষি করে সমঝোতায় পৌঁছালে জাহাজসহ নাবিকদের মুক্তি মিলতে পারে।
এ বিষয়ে নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ক্যাপ্টেন সাখাওয়াত হোসেন বলেন, 'যোগাযোগ শুরুর দিকটি ইতিবাচক। কারণ, এতদিন একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকতে হয়েছে। দস্যুরা নিশ্চয়ই তাদের দাবি উত্থাপন করেছে বা করবে। এখন তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মালিকপক্ষ মিলে একটা সমঝোতায় পৌঁছাবে।
তিনি আরও বলেন, 'যত তাড়াতাড়ি সমঝোতা হবে, নাবিকদের মুক্তি তত তাড়াতাড়ি হবে।'
অবশ্য মালিকপক্ষ জানিয়েছেন, তারা জলদস্যুদের যোগাযোগের আগেই মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে সমঝোতার নানা প্রক্রিয়ার কাজ গুছিয়ে এনেছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটি কয়লা নিয়ে আফ্রিকার মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাই যাচ্ছিল।
জিম্মির তিন দিনের মাথায় নাবিকসহ জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। দুই দফা স্থান পরিবর্তন করে জাহাজটি গত শুক্রবার সোমালিয়ার গদভজিরান উপকূলের কাছে নোঙর করে রাখে জলদস্যুরা।