তুরস্কের উপকূলে অভিবাসনপ্রত্যাশী নৌকাডুবি, ৭ শিশুসহ নিহত ২২

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২৪, ১০:০৮ AM

তুরস্কের এজিয়ান সাগরের গোকসিয়াদা দ্বীপের কাছে গতকাল শুক্রবার একটি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌকা ডুবে গেছে। এতে সাত শিশুসহ অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন। তুরস্কের কোস্টগার্ড তাদের উদ্ধার করেছে। তবে নিহতরা কোন দেশের তা এখনো জানা যায়নি। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে তুরস্কের গভর্নর ইলহামি আকতাস দেশটির বর্তা সংস্থা আনাদুলু এজেন্সিকে বলেন, তুর্কি কোস্ট গার্ড এখন পর্যন্ত দুজনকে জীবিত উদ্ধার করতে পরেছে। উদ্ধারকাজ এখনো চলছে। একটি প্লেন, দুটি হেলিকপ্টার, একটি ড্রোন, ১৮টি নৌকা এবং ৫০২ জন উদ্ধারকর্মী নিয়ে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে অবৈধভাবে গ্রীসে যাওয়ার পথে শতাধিক মানুষকে বাঁধা দেওয়ার কথা জানিয়েছে তুর্কি কোস্ট গার্ড। তাদের মধ্যে শিশুরাও ছিল বলে জানিয়েছে তারা।

গত কয়েক বছর ধরেই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা গ্রিস থেকে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে তুরস্ক হয়ে ইউরোপে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে। এভাবে সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে অনেকেরই মৃত্যু হচ্ছে।

অবৈধ অভিবাসীদের এই সমস্যা সমাধানে গত বছরের ডিসেম্বরে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এথেন্স সফর করেন।

উল্লেখ্য, এর আগে লিবিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে রাবারের তৈরি নৌকার ইঞ্জিন বিকল হয়ে অন্তত ৬০ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্য ভূমধ্যসাগরে উদ্ধার হওয়া নৌকাটি থেকে বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের বেশি সময় আগে তারা লিবিয়া থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন।

এসওএস মেডিটেরিয়ানি বলেছে, বুধবার ইতালির কোস্ট গার্ডের সঙ্গে সমন্বিতভাবে ২৫ জনকে খুব দুর্বল অবস্থায় উদ্ধার করেছে গোষ্ঠীটি। দুই অচেতন ব্যক্তিকে হেলিকপ্টারে করে সিসিলিতে নেওয়া হয়। কিন্তু পরে তারা মৃত্যুবরণ করেন।

এসওএস মেডিটেরিয়ানি এক্স বার্তায় জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীরা সাতদিন আগে লিবিয়া ছেড়েছিলেন। এর তিনদিন পর তাদের নৌকার ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। পানি ও খাবার ছাড়াই কয়েকদিন ভাসতে থাকেন তারা।

জীবিতরা জানিয়েছেন, এ যাত্রায় অন্তত ৬০ জন মারা গেছেন যার মধ্যে মহিলা এবং একটি শিশু রয়েছে। তারা সবাই ক্ষুধা এবং তৃষ্ণায় মারা গেছেন। কেউ ডুবে মারা যাননি।