প্রায় ৫০ মিনিট হৃদস্পন্দন বন্ধ থাকার পর জেগে উঠলেন যুবক!
পৃথিবীতে অনেক কিছুই ঘটে, যেগুলোকে আমরা সাধারণত ‘মিরাকল’ বলে থাকি। এমনই এক মিরাকল ঘটে গেলো ইংল্যান্ডে। হৃদস্পন্দন বন্ধ ছিল প্রায় ৫০ মিনিট। চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছিলেন মৃত ঘোষণা করার। এমন সময় জেগে উঠলেন রোগী। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেট্রো এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইংল্যান্ডের বার্নসলির বাসিন্দা ৩১ বছর বয়সী বেন উইলসনের পর পর দুটি কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। বেনের হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণত এরকম ক্ষেত্রে ডিফিব্রিলেটর ব্যবহার করে হার্ট পুনরায় সচল করার চেষ্টা চালানো হয়। বেনের প্রায় ১১ বার ডিফিব্রিলেটর ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ততক্ষণে কোমায় চলে যান। বাঁচার আশাও ক্ষীণ হয়ে আসছিল।
চিকিৎসকেরা ধরে নিয়েছিলেন, আর কিছু করার নেই। রোগীর পরিবারকে কী বলবেন তা নিয়ে নিজেদের মধ্যেও কথা বলে নিচ্ছিলেন। কিন্তু ঘটে ‘মিরাকল’, ‘বেঁচে’ ওঠেন বেন।
শুধু হার্ট নয়, মস্তিষ্কেও অক্সিজেন ঘাটতি দেখা দিয়েছিল বেনের। তবে ৫০ মিনিট পর আচমকা তাঁর হৃদস্পন্দন ফিরে আসায় হতবাক হয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। বেনের এখনও চিকিৎসা চলছে। সম্পূর্ণ সুস্থ না হলেও হাঁটতে এবং কথা বলতে পারছেন তিনি।
বেনের বাগদত্তা রেবেকা হোমস বলেন, ‘আমরা বেনের ফেরার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। এখনও পুরোপুরি সেরে ওঠেনি ও। কিছু স্মৃতি লোপ পেয়েছে। আমি সবসময় বেনের পাশে ছিলাম।’
বেন উইলসন ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের একজন কর্মী। কিছুদিনের মধ্যে বিয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। সুস্থ হয়ে উঠলে বিয়ের আয়োজন সারবেন বলে জানা গেছে।