গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে; শিশুরা অনাহারে-অপুষ্টিতে মারা যাচ্ছে
গত বছরের অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। দেশটির নৃশংস ও বর্বর হামলায় গাজার প্রায় সবগুলো হাসপাতালই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। এছাড়া গাজায় বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, খাদ্য, ত্রাণ সংস্থার প্রবেশ সবকিছুই আটকে দিয়েছে দেশটি। ফলে গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। শিশুরা ভয়াবহ মাত্রায় অপুষ্টির শিকার হচ্ছে। তারা অনাহারে মারা যাচ্ছে।
আজ বুধবার (৫ মার্চ) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস এ তথ্য জানান। খবর বিবিসির।
তিনি বলেন, গাজায় স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জার পাশাপাশি হাসপাতালেও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের এমন আগ্রাসনে গাজায় তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি এতোটাই অমানবিক যে, সেখানে অনাহারে শিশুরা মারা যাচ্ছে।
ডব্লিউএইচও প্রধান বলেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় খাবারের অভাবের ১০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং উত্তর গাজায় শিশুরা ভয়াবহ মাত্রায় অপুষ্টির শিকার হয়েছে। হাসপাতালগুলোও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, জাতিসংঘ বলেছিল, গাজায় দুর্ভিক্ষ প্রায় অনিবার্য। গাজার উত্তরাঞ্চলে দুই বছরের কম বয়সী প্রতি ছয়জন শিশুর মধ্যে একজন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের আগ্রাসনে সাড়ে ৩০ হাজার ৫৩৪ জন নিহত হয়েছেন।যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ৭১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
শুধু গাজায় নয়, ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরেও হামলা, আটক ও অবৈধ বসতি স্থাপন করে যাচ্ছে ইসরায়েল। বিশ্বের কোন দেশের কথাই কানে তুলছে না দেশটি। যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের পশ্চিমা মিত্রদের সহায়তায় পুরো গাজাজুড়ে এক মানবিক বিপর্যয় বয়ে এনেছে। অনাহারে-অর্ধাহারে থাকা ফিলিস্তিনিরা ত্রাণ সংগ্রহ করতে গেলে সেখানেও হামলা চালিয়ে অর্ধশত ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এর পরেও যুক্তরাষ্ট্র বা তাদের পশ্চিমা মিত্ররা গাজায় গণহত্যা দেখছেন না।