ব্রাজিলে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৭; বেলজিয়ামে ২
দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম সমৃদ্ধ্য দেশ ব্রাজিলে মিনাস গেরিস রাজ্যে এক ইঞ্জিন বিশিষ্ট একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৭ জন নিহত হয়েছেন।
গতকাল রবিবার (২৮ জানুয়ারি) স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
দেশটির দমকল বাহিনী জানিয়েছে, বিমানটি দেশটির সাও পাওলো রাজ্যের ক্যাম্পিনাস থেকে উড্ডয়ন করে। এরপর স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মধ্য আকাশেই বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় ৭ জন নিহত হলেও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, পাহাড়, ঘাস ও বনজঙ্গলে ঘেরা স্থানে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানের ধংসস্তূপ চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
এর আগে ২০২৩ সালে সেপ্টেম্বরে আমাজন বনে ব্রাজিলের একটি বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়। ইএমবি-১১০ মডেলের দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট বিমানটির নির্মাতা ব্রাজিলের প্রতিষ্ঠান এমব্রেয়ার। বিমানটিতে ১৮ জন যাত্রী বহনের সক্ষমতা ছিল।
এদিকে বেলজিয়ামের উত্তরাঞ্চলে গাড়ির ওপর আছড়ে পড়েছে একটি ছোট বিমান। গতকাল রবিবার (২৮ জানুয়ারি) এ দুর্ঘটনায় অন্তত দুইজন নিহত হয়েছেন।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এছাড়া এভিয়েশন২৪ডটবিই, ব্যারন'স, এনডিটিভি, ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে, স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনেও একই তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলের স্পা নামক স্থানের একটি বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা চালায় ছোট বিমানটি। কিন্তু ঝড়ো বাতাসের কারণে সেটি সফলভাবে অবতরণ করতে পারেনি। এর বদলে বিমানটি পাশের রাস্তায় পার্ক করে রাখা একটি গাড়ির ওপর আছড়ে পড়ে। এতে গাড়ি এবং বিমান দুটিতেই আগুন ধরে যায়।
স্থানীয় পুলিশ কমান্ডার জিন-মাইকেল লেজিউনি বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, বিমানে থাকা দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। দেখে যা মনে হচ্ছে এটি একটি ব্যর্থ অবতরণ ছিল।’
বিমানের পাইলট জার্মানির নাগরিক। তার সঙ্গে থাকা অপর ব্যক্তির পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন পুলিশের এ কমান্ডার।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, যে গাড়ির ওপর বিমানটি আছড়ে পড়েছে সেটির চালক গাড়ি পার্ক করে সিগারেট খেতে গিয়েছিলেন। দুর্ঘটনার সময় গাড়ির ভেতর না থাকায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান।
বেলজিয়ামের সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, বিমানবন্দরের রানওয়ের কাছ থেকে চিকন কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলি বের হচ্ছে এবং গাড়িটি পুরোপুরি ভষ্মিভূত হয়ে গেছে।
দুর্ঘটনাস্থলে গেছেন দেশটির পরিবেশ কর্মকর্তারাও। স্পার বিখ্যাত বোতলজাত পানিতে কোনো দূষণ যেন ছড়িয়ে না পড়ে সে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন তারা।