হামাসের উপপ্রধান সালেহ হত্যা
প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলে হামলা চালালো হিজবুল্লাহ; যুদ্ধ লেবাননে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা
লেবাননের বৈরুতে ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের উপপ্রধান সালেহ আল-আরৌরি নিহত হয়েছেন। তিনি ছাড়াও এই হামলায় আরও পাঁচ হামাস সদস্য নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বৈরুতের দক্ষিণে দাহিয়েহ এলাকায় এই ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েল।
এদিকে লেবাননে থাকা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের শীর্ষ নেতা সালেহ আল- আরুরিকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে মিসাইল ছুড়েছে হিজবুল্লাহ।
সালেহ আল- আরুরি ছিলেন হামাসের পলিটব্যুরোর উপপ্রধান। মঙ্গলবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতের একটি ভবনে ড্রোন হামলা চালিয়ে আরুরি ও আল-কাসেম ব্রিগডসের দুই কমান্ডারসহ সাতজনকে হত্যা করে ইসরায়েল। ওই হামলার পরই প্রতিশোধ ও ‘শাস্তি’ দেওয়ার হুমকি দেয় লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, হিজবুল্লাহ দাবি করেছে- ইসরায়েলের দখলকৃত মার্জ এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীকে লক্ষ্য করে মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়েছে।
তারা আরও জানিয়েছে, সালেহ আল-অরৌরিকে হত্যার পর প্রতিশোধ নেওয়ার যে কথা তারা দিয়েছিল, সেই কথা অনুযায়ী দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তবে এই মিসাইল হামলার ব্যাপারে বিস্তারিত কোনও কিছু জানায়নি হিজবুল্লাহ। এছাড়া ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) পক্ষ থেকেও সেনাদের ওপর হামলার ব্যাপারে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
তবে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর ট্যাংক বিধ্বংসী মিসাইলের আঘাতে মানেরার একটি সেনা চৌকির দুই সেনা সামান্য আহত হয়েছে।
সালেহ আল- আরুরিকে হত্যার পর হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ এখন লেবাননে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান