গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ছাড়িয়েছে ২২ হাজার
বেড়েই চলেছে গাজায় ইসরায়েলিদের গণহত্যা। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত মানুষের সংখ্যা ২২ হাজার ছাড়িয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স। আল জাজিরার প্রতিবেদনেও অনুরূপ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ২০৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩৩৮ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে তিন মাসের এই যুদ্ধে ২২ হাজার ৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৫৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।
গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে প্রায় ১১৪০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন।
হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রথম দিকে ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজায় হামলা চালায়। ফলে ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে অধিকাংশ ফিলিস্তিনি দক্ষিণ গাজায় এসে আশ্রয় গ্রহণ করেন। সম্প্রতি দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তাদের দাবি, শহরটিতে শক্ত ঘাঁটি গেড়ে বসেছে হামাস। ফলে বর্তমানে অধিকাংশ ফিলিস্তিনি মিসরের সীমান্তবর্তী রাফাহ শহরে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে খোলা আকাশের নিচে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন তারা।
মঙ্গলবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় তাদের সেনারা উত্তর গাজায় বেশ কয়েক জন হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। আর দক্ষিণ গাজায় বিমানবাহিনী ও ট্যাংকবহর হামলা জোরদার করেছে। মধ্য গাজায় ইসরায়েলি হামলার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।