গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলা
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে সাড়ে ২১ হাজারের মতো ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েল। এর ফলে গাজা উপত্যকায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা দায়ের করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
গতকাল শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) এ মামলা দায়ের করে দেশটি। খবর আল জাজিরার।
দক্ষিণ আফ্রিকা একটি আবেদনে গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে জাতিসংঘের ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশনের লঙ্ঘন করেছে মর্মে জরুরি আদেশ ঘোষণা করার অনুরোধ করেছে আইসিজেকে।
ওয়ার্ল্ড কোর্ট নামে পরিচিত আইসিজে হচ্ছে বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব সুরাহার জন্য জাতিসংঘের আদালত।
তবে জাতিসংঘের আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলাটি প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। তারা বলেছে, মামলাটি 'ভিত্তিহীন'।
মামলায় দক্ষিণ আফ্রিকা বলেছে, ফিলিস্তিনি নাগরিকদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ধ্বংস করেছে ইসরায়েল, যা জাতিসংঘের কনভেনশন অনুসারে অপরাধ।
গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ স্বল্প মেয়াদে বা অস্থায়ীভাবে বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের আদেশ দিতে আদালতকে অনুরোধ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দ্য হেগ-এ অবস্থিত আইসিজে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত। তবে আদালতটির রুলিং মাঝে মাঝেই উপেক্ষা করা হয়। ২০২২ সালের মার্চে ইউক্রেনে অভিযান অবিলম্বে বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছিল এ আদালত। কিন্তু সেই নির্দেশ মানা হনি।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলার জবাবে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার দায় চাপিয়েছে হামাসের ওপর।
ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস সাধারণ ফিলিস্তিনিদের মানববর্ম হিসেবে ব্যবহার করার পাশাপাশি তাদের জন্য পাঠানো মানবিক সহায়তা চুরি করছে। তবে হামাস এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার মামলা করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র ফিলিস্তিন।
দ্য হেগে অবস্থিত আরেক আদালত ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট (আইসিসি) পৃথকভাবে গাজায় ইসরায়েলের নৃশংসতার তদন্ত করছে। ইসরায়েল আইসিসির সদস্য নয়; সে কারণে তারা বলছে, এ বিষয়ে তদন্ত করার এখতিয়ার নেই আদালতটির।
উল্লেখয, গাজায় প্রায় তিন মাস ধরে চালানো ইসরায়েলি হামলায় ২১ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।