অধিকৃত পশ্চিম তীরে হামলায় জড়িতদের ওপর নিষধাজ্ঞার হুমকি দিল ইইউ
অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতায় জড়িত উগ্র ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব পেশ করবেন বলে জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল। পশ্চিম তীরের উগ্র ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের সংগঠিত সহিংসতা সম্পর্কে ইইউ উদ্বিগ্ন উল্লেখ করে এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর বোরেল সাংবাদিকদের বলেন, কথা থেকে কাজে যাওয়ার সময় এসেছে। পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে সহিংসতার বিষয়ে আমরা যে ব্যবস্থা নিতে পারি তা গ্রহণের সময় এসেছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর বসতি স্থাপনকারীদের হামলা দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। সহিংস হামলা এবং ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে অধিকৃত এই অঞ্চলে কমপক্ষে ২৭৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত ৬৩ জন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও প্রায় সাড়ে তিন হাজার।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব জমা দেননি ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান। তবে তিনি বলেছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে বসতি স্থাপনকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরামর্শ দেবেন তিনি।
ইসরায়েলিদের ওপর কী ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি বোরেল। তবে ইইউ কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে। ফলে এসব ইসরায়েলি ইউরোপে ভ্রমণ করতে পারবে না।
তবে ইইউতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। কেননা কূটনীতিকরা বলেছেন অস্ট্রিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র ও হাঙ্গেরির মতো দেশ ইসরায়েলের কট্টর মিত্র। এছাড়াও ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি নৃশংসতার সমর্থন দিয়ে আসছে জার্মানি। যদিও গত সপ্তাহে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় মিত্র যুক্তরাষ্ট্র অধিকৃত পশ্চিম তীরে সহিংস হামলায় জড়িত বসতি স্থাপনকারীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এ ছাড়া গত মাসে ফ্রান্স বলেছে, তারা এই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার দিকটি বিবেচনা করছে। আর বসতি স্থাপনকারীদের তাদের দেশে ঢুকতে না দেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে বেলজিয়াম।