গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতায় নিহত ১৬ হাজার ২৪৮ জন; এর মধ্যে শিশু ৭,১১২ জন
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। আল জাজিরার রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি নৃশংসতায় নিহত হয়েছে ১৬,২৪৮ জন। আহত হয়েছে আরও অন্তত সাড়ে ৪৩ হাজার। নিহতদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই শিশু। গাজা প্রশাসনের জনসংযোগ বিভাগ গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সর্বশেষ আপডেটে এই তথ্য জানিয়েছে। তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গাজার জনসংযোগ বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৬ হাজার ২৪৮ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৭ হাজার ১১২ জন শিশু এবং নারী ৪ হাজার ৮৮৫ জন। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৩ হাজার ৬১৬ জন বলেও জানিয়েছে গাজার জনসংযোগ বিভাগ।
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা প্রশাসনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৭ হাজার ৬০০ জন এখনো নিখোঁজ।
এদিকে, মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে—অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় হামাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা টানেল নেটওয়ার্ককে সমুদ্রের পানি দিয়ে ডুবিয়ে দিতে চায় ইসরায়েল, যাতে করে এসব টানেলে লুকিয়ে থাকা হামাস যোদ্ধাদের বাইরে বের করে আনা যায়। এই লক্ষ্যে দেশটি এরই মধ্যে বিশাল সেচব্যবস্থার জোগাড় করে ফেলেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, গত নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই ইসরায়েল এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে। এরই মধ্যে তারা সমুদ্র থেকে পানি টেনে আনার জন্য গাজা আল-শাতি শরণার্থীশিবিরের পাশে অন্তত পাঁচটি পানির পাম্প স্থাপন করেছে, যেগুলো প্রতি ঘণ্টায় কয়েক হাজার ঘনমিটার পানি বয়ে আনতে পারবে। সেই হিসাবে একবার পানি টানা শুরু করলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই গাজার টানেলগুলো পানিতে ভরে যাবে।
তবে এখনো বিষয়টি নিশ্চিত নয় যে, ইসরায়েল সব জিম্মিকে মুক্ত করার আগেই এসব পাম্প ব্যবহার করবে কি না। কারণ, এখনো হামাসের কাছে শ-খানেক ইসরায়েলি জিম্মি রয়ে গেছে। হামাস জানিয়েছে, এসব জিম্মি টানেলের ভেতরে সুরক্ষিত অবস্থানে রয়েছে।
এছাড়া, নেতানিয়াহু বলেছে, যুদ্ধের পর গাজা ডিমিলিটারাইজ জোন হিসেবে কাজ করবে।
এদিকে অবরুদ্ধ গাজার পাশাপাশি পশ্চিম তীরেও নৃশংসতা শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে ১৬ ও ১৮ বছর বয়সী দুই ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল।