শিফা হাসপাতালের পরিচালক ও সার্জনকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী
গাজার শিফা হাসপাতালের প্রধানকে গ্রেপ্তার করেছে ইহুদিবাদী সেনারা। অপরদিকে গাজার ইন্দোনেশিয় হাসপাতালের পরিস্থিতিও বিপর্যয়কর বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সূত্রগুলো।
আল-মায়াদিন নেটওয়ার্ক গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে আজ জানিয়েছে, আশ-শিফা হাসপাতালের প্রধান মুহাম্মাদ আবু সালিমা এবং ওই হাসপাতালের একজন সার্জন ডাক্তারকে ইসরাইলি সেনারা ধরে নিয়ে গেছে।
মায়াদিন আরও জানিয়েছে খান ইউনূসের একটি স্কুল যুদ্ধে আহত উদ্বাস্তুদের আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ইসরাইলি সেনারা ইন্দোনেশিয় হাসপাতালের পাশ্ববর্তী টাওয়ারের ওপর উঠে বেসামরিক লোকজনের ওপর গুলি চালাচ্ছে।
এই হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় শহীদদের লাশ পড়ে আছে। দখলদার বাহিনী শহীদদের কিছু লাশ অপহরণ করেছে বলে জানা গেছে।
ইন্দোনেশিয় হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে গতকাল ৪শ ৫০ রোগী ওই হাসপাতাল ছেড়ে গেছে। আর মাত্র ২০০ রোগী এখন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। প্রতিটি অ্যাম্বুলেন্স ৬ থেকে ৭জন রোগী বহন করছে।
অন্যদিকে, আল-মায়াদিন জানিয়েছে, গাজার কেন্দ্রীয় এলাকায় শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। মায়াদিনের সাংবাদিক জানিয়েছে ইহুদিবাদী জঙ্গিবিমানগুলো ফিলিস্তিনিদের কৃষি জমি এবং আবাসিক বাড়িগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। ওই সাংবাদিক আরও জানায় ইহুদিবাদী জঙ্গিবিমানগুলো কয়েক ঘণ্টা আগেও গাজার বিভিন্ন এলাকায় বোমাবর্ষণ করেছে। তাদের এলোপাথাড়ি বর্বর হামলায় বহু ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গাজার আল শিফা হাসপাতালে ফিলিস্তিনি ঘাঁটি আছে এমন অভিযোগে হাসপাতালটিতে হামলা করে দখলদার ইসরায়েল। এরপর হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশ করে অভিযান চালায়। ডাক্তার, নার্সদের চোখ বেঁধে জেরা করে। হাসপাতালে থাকা নারীদের হেনস্তা করে।
এতো কিছুর পরেও হাসপাতালে কোন ঘাঁটি খুঁজে পায়নি ইহুদিবাদী ইসরায়েল। তবে তারা ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করে দাবি করেছে গাজায় হামাসের সুড়ঙ্গ পাওয়া গেছে। কিন্তু হামাস এই দাবিকে প্রত্যাখান করে সুড়ঙ্গের মিথ্যাচারের জবাব দিয়েছে।