আল শিফা হাসপাতালে নারীদের লাঞ্ছিত করেছে ইসরায়েলি সেনারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:৩০ PM

দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী প্রায় এক সপ্তাহ ধরে গাজার আল-শিফা হাসপাতাল অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এসময় জরুরি বিভাগ, পানির পাম্পের ওপর গোলাবর্ষণ করে উত্তর গাজায় অবস্থান করা ইসরায়েলি সেনারা। এরপর আজ শনিবার (১৮ নভেম্বর) আল শিফা হাসপাতালে ঢুকে সেটি খালি করার নির্দেশ দিয়েছে আজ শনিবার। অথচ এ হাসপাতালে ছিল হাজার হাজার গুরুতর আহত রোগী, তাদের স্বজন ও আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত অনেক পরিবার।

অমানবিক এই কর্মকাণ্ডের মধ্যে বর্বরতার নতুন দৃষ্টান্ত বিশ্বের সামনে স্থাপন করেছে ইসরায়েল। 

আল শিফায় ছিলেন অনেক নারী চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগীদের স্বজন। তাদেরকে হাসপাতাল ছাড়তে দেওয়ার আগে তাদের কাপড় খুলতে বাধ্য করে 'দেহতল্লাশি' চালায় ইসরায়েলি সেনারা।

হাসপাতাল ছেড়ে আসা প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সাংবাদিক জিহাদ আবু শানাব আল জাজিরাকে জানান, ওই অবস্থায় নারীদের কঠোর 'জেরার' সম্মুখীন করা হয়।

তিনি বলেন, ' অপমানজনকভাবে দেহ তল্লাশি করেছে সেনারা। অনেক নারীকে তাদের কাপড় খুলতে বাধ্য করেছে। এসব মারাত্মক লজ্জাজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তারা।'

জিয়াদ বলেন, 'হাসপাতালে থাকা অনেক বেসামরিক নাগরিককে দ্বিতীয় তলায় জিম্মি করে রাখা হয়। তাদেরকে খাদ্য বা পানি কিছুই দেওয়া হয়নি, এবং চরমভাবে অপমান ও লাঞ্ছনা করা হয়েছে।'

এদিকে গাজায় জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত একটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েরি বাহিনী। এই হমলায় ৫০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। 

এছাড়া গাজায় নতুন হামলা চালিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। এই হামলায় ১৯ জন শিশুসহ একই পরিবারের ৩২ জন সদস্য নিহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিহতদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে।

ইসরায়েরি এই বর্বরতার মাঝেও পশ্চিমা দেশগুলোকে ইসরায়েলের পক্ষে সাফাই গাইতে দেখা গেছে। শুধু তাই নয়, পশ্চিমা মিডিয়াগুলোও ইসরায়েলের পক্ষে ভুলভাবে নিউজ উপস্থাপন করছে। এজন্য নিউইয়র্কে নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং ফক্স নিউজের কার্যালয়ে মানববন্ধন করেছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনপন্থী ও উদারপন্থী মানুষ।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় এখন পর্যন্ত ১২ হাজারের অধিক মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ হাজারের বেশি শিশু। জাতিসংঘ বলছে, গাজার একটি কোনায়ও নিরাপদ নেই।