গাজায় শরণার্থী শিবিরে আবারো ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ২০
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার জাবালিয়ার আন নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ বিমান হামলায় অন্তত ২০ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। এছাড়া গাজার অন্যান্য স্থানেও ইসরাইলি বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে।
ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা নিউজ জানিয়েছে, আন নুসিরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে বিমান হামলায় ২০ জন শহীদ হয়েছেন। এছাড়া জাবালিয়া এলাকার আরও কয়েকটি আবাসিক ভবনে বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা শহীদ হন। এছাড়া, গাজার খান ইউনিসের একটি ভবনে বিমান হামলায় চার জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি শাহাদাৎবরণ করেছেন।
আলজাজিরা টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, আজকের বিমান হামলার পর অনেক মানুষ ভবনের নিচে চাপা পড়েছেন। জীবিতরা তাদের উদ্ধারে কাজ করছেন। শুধুমাত্র খালি হাত ব্যবহার করেই ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে সেখানে প্রাণের স্পন্দন খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন তারা।
আজ গাজা সিটির আল-জায়তুন এলাকার একটি স্কুলেও হামলা চালায় দখলদার ইসরাইল বাহিনী। ওই হামলায় অসংখ্য মানুষ আহত ও নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
সাধারণ মানুষের ঘর-বাড়ি ছাড়াও গাজার হাসপাতালগুলোর ভেতরও বর্বর হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলিরা। গাজার আশ শিফা হাসপাতালে এখনও ইসরাইলি সেনারা অবস্থান করছে, সেখানে তারা আজ বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। চিকিৎসকেরা বলেছেন, সেখানে মানবেতর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তারা সবাই সেখানে বন্দী হয়ে আছেন। ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, সেখানে কোনো ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছাতে দেওয়া হচ্ছে না। চিকিৎসার অভাবে রোগীরা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন। এছাড়া আল আহলি আরাব হাসপাতালের আশেপাশে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। এর আগে এই হাসপাতালে বোমাবর্ষণ কয়েক কয়েকশ' রোগীকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরাইল।
গত ৭ অক্টোবর থেকে মোট ৪২ দিন ধরে গাজার বিভিন্ন স্থানে নির্বিচার বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। তাদের এসব হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। এদের মধ্যে প্রায় ৫ হাজার জনই শিশু। এসব হামলায় আহত হয়েছেন ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ।