ইসরায়েলি বাহিনীর পৃথক তিন হামলা থেকে বেঁচে গিয়েছিল ৩ বছর বয়সী শাবাত
তিন বছর বয়সী ফিলিস্তিনি শিশু আহমাদ শাবাত। সে ইসরায়েলি বাহিনীর ভিন্ন ভিন্ন তিন হামলা থেকে এখন পর্যন্ত বেঁচে গিয়েছে। ৭ অক্টোবর প্রথম হামলায় তার বাবা-মা এবং চার ভাইবোনকে হারিয়েছিল।
গাজার শেখ রাদওয়ান জেলায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত না হওয়া পর্যন্ত তার বাবার আত্মীয়রা তাকে দেখাশোনা করেন।
এর পরে, শাবাত, তার বেঁচে থাকা চাচা সহ নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে ফিলিস্তিন শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার নিকটবর্তী (UNRWA) স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে শাবাত পায়ে আঘাত পান এবং ইসরায়েলি বিমান হামলায় তার চাচা নিহত হন।
শাবাত এখন দেইর এল-বালার আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞ এখনো অব্যাহত আছে। গাজা ও পশ্চিম তীরে দখলদার বাহিনীর হামলায় এখনো পর্যন্ত ১১ হাজারের উপরে মানুষ নিহত হয়েছে।
গাজার রেড ক্রসের এক ত্রাণবাহী গাড়ি আটকে রেখে তল্লাশি করছে আইডিএফ। এছাড়া ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে বিমান হামলা চালিয়ে তিনজনকে নিহত করেছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে ৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দখলদার বাহিনী।
এদিকে গাজার আল শিফা হাসপাতালে হামাসের ঘাটি ইসরায়েলি এই অভিযোগ প্রমাণ করতে মরিয়া ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)। যদিও এখন পর্যন্ত প্রমাণ করার মতো সন্তোষজনক কিছু খুঁজে পায়নি তারা।
উত্তর গাজা থেকে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য দক্ষিণ গাজার দিকে চলে এসেছে। তবে সেখানেও হামলা শুরু করেছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজার আল ফালাহ স্কুলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী, যেখানে হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। সেখানে বহু মানুষ হতাহত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।