হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার বাসভবনে ইসরায়েলের বোমা হামলা
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ার বাসভবনে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে এ দাবি করেছে। খবর আল জাজিরার।
গাজা সিটির পশ্চিমে শাতি শরণার্থী শিবিরের কাছে ইসমাইল হানিয়ার বাসভবন বোমা হামলায় বিধ্বস্ত করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে আইডিএফ।
তিনি অবশ্য গাজায় থাকেন না। বেশ কয়েক বছর ধরেই কাতারে বাস করছেন ইসমাইল হানিয়া।
আইডিএফ বিবৃতিতে বলেছে, গতকাল বুধবার রাতে হামাসের শীর্ষ নেতা ও রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়ার গাজার বাসভবন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বাড়িটি সন্ত্রাসীদের অবকাঠামো এবং অনেক ক্ষেত্রেই হামাসের সিনিয়র নেতাদের বৈঠকের স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
ইসমাইল হানিয়ার বাসভবনে বিমানবাহিনীর বোমা হামলার ফুটেজ প্রকাশ করেছে আইডিএফ। তবে তাদের দাবির ব্যাপারে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি হামাস।
গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া বর্বর ইসরায়েলি হামলায় গাজা ও পশ্চিম তীরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৫১৭। আহত হয়েছে আরও অন্তত ৩২ হাজার। নিহতদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই শিশু।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে কেবল গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ১১ হাজার ৩২০ জন। এর মধ্যে আবার শিশুর সংখ্যাই ৪ হাজার ৬৫০। নিহতদের তালিকায় নারী ৩ হাজার ১৪৫ জন এবং বয়স্ক নাগরিক ৬৮৫ জন। এ ছাড়া এই অঞ্চলে আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৯ হাজার। হতাহতদের মধ্যে বাকিরা পশ্চিম তীরের।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহতদের বাইরেও এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি নিখোঁজ কিংবা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদেরও প্রায় অর্ধেক শিশু। সংখ্যার বিচারে অন্তত ১ হাজার ৭৫০ জন শিশু এখনো নিখোঁজ অথবা ধ্বংসস্তূপের নিচে।
ইজরায়েলি এই ধ্বংসযজ্ঞের মাঝেও পশ্চিমা সাহায্য অব্যাহত আছে। বৃটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, আমেরিকা ইসরায়েলকে সামরিক এবং কূটনৈতিক সব ধরনের সাহায্য করে যাচ্ছে।
এর আগে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মানবিক যুদ্ধবিরতি বিল পাস হলেও এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক কোন আইনেরই তোয়াক্কা করছে না দখলদার দেশটি।