দুর্বল শাসন কাঠামো সরকার পতনের কারণ: অজিত দোভাল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক   নিজস্ব প্রতিবেদক  
প্রকাশিত: ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:০৫ AM

ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত দোভাল বলেছেন, দুর্বল শাসন কাঠামোই অনেক সময় দেশে সরকার পরিবর্তনের পথ তৈরি করে দেয়। তার মতে, বাংলাদেশ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অনানুষ্ঠানিক উপায়ে সরকার পরিবর্তনের পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল দুর্বল প্রশাসনিক কাঠামো।

আজ শনিবার (১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। গতকাল শুক্রবার রাষ্ট্রীয় ঐক্য দিবস উপলক্ষে দেওয়া বক্তব্যে দোভাল বলেন, রাষ্ট্রের স্থিতি ও নিরাপত্তা রক্ষায় কার্যকর শাসনব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি। শাসনের মান শুধু রাষ্ট্রকে তার লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করে না, নাগরিকের আশা–আকাঙ্ক্ষাও পূরণ করে।

তিনি বলেন, ‘আজ প্রশাসনের বড় চ্যালেঞ্জ হলো সাধারণ মানুষকে সন্তুষ্ট রাখা। এখন মানুষ অনেক বেশি সচেতন, উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং রাষ্ট্রের কাছে বেশি কিছু প্রত্যাশা করে। রাষ্ট্রকে তাই জনগণের আস্থা ধরে রাখতে হবে।’

প্রশাসনিক ব্যবস্থার শক্তিকে ‘রাষ্ট্রশক্তির মূল জ্বালানি’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে দোভাল বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে পরিচালিত হয়, সেখানেই জাতিগঠনের প্রকৃত ভূমিকা নির্ধারিত হয়। যে ব্যক্তি এসব প্রতিষ্ঠান তৈরি ও লালন করে, তারাই প্রকৃত জাতিনির্মাতা।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসন মডেলের প্রশংসা করে দোভাল বলেন, ভারত এখন নতুন গতিপথে— নতুন শাসনব্যবস্থা, নতুন সামাজিক কাঠামো ও নতুন বৈশ্বিক অবস্থান নিয়ে এগোচ্ছে। প্রশাসনিক দুর্নীতি দমন এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের ফলে ইতিবাচক পরিবর্তন দৃশ্যমান হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

নারীর ক্ষমতায়ন ও নিরাপত্তাকে ভালো শাসনের অপরিহার্য উপাদান উল্লেখ করে দোভাল বলেন, শুধু আইন করলেই হবে না, সেই আইন বাস্তবায়ন করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও জনসেবা নিশ্চিতে উদ্যোগী হতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে প্রযুক্তিনির্ভর হুমকি থেকে সমাজকে রক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথাও মনে করিয়ে দেন এনএসএ।

দোভাল বলেন, ‘পরিবর্তনের সময় লক্ষ্য স্পষ্ট রাখতে হয়। ঝড়–ঝাপটার মধ্যেও চোখ খোলা রাখতে হবে, ভয় বা বিভ্রান্তিতে পথ হারানো যাবে না।’