কী আছে ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:০১ AM

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যৌথ সংবাদ সম্মেলনের মঞ্চে ওঠার কিছুক্ষণ আগে যুক্তরাষ্ট্র গাজা নিয়ে তাদের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত প্রকাশ করে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েল ট্রাম্পের প্রস্তাবিত এই ২০ দফা পরিকল্পনায় সম্মতি দিলেও হামাস অস্ত্রবিরতিতে সম্মত নয়।

প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রথমেই তাৎক্ষণিকভাবে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধ এবং সেখানকার বিদ্যমান যুদ্ধরেখা অপরিবর্তিত থাকবে। এ পরিকল্পনার আওতায় গাজার শাসক গোষ্ঠী হামাসকে অস্ত্র সমর্পণ এবং তাদের আক্রমণাত্মক অস্ত্রভাণ্ডার ধ্বংস করতে হবে। পাশাপাশি, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জীবিত ২০ ইসরায়েলি বন্দি এবং মৃত দুই ডজনেরও বেশি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিতে হবে।

এই বন্দিদের মুক্তির পর ইসরায়েল শত শত বন্দি ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, উভয়পক্ষ প্রস্তাবে সম্মত হলে গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে পূর্ণমাত্রার সহায়তা পাঠানো হবে।

যুক্তরাষ্ট্র গাজার ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থার খসড়া পরিকল্পনাও প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, একটি অরাজনৈতিক ফিলিস্তিনি কমিটি অস্থায়ীভাবে গাজা শাসন করবে। আর এই শাসনব্যবস্থার তত্ত্বাবধান করবে নতুন আন্তর্জাতিক অন্তর্বর্তী সংস্থা বোর্ড অব পিস। এই সংস্থার নেতৃত্বে থাকবেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারসহ আরও কয়েকজন নেতাও বোর্ড অব পি‌সে থাকবেন বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই বোর্ডের অন্যান্য সদস্যদের নাম পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে।

পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, গাজার নতুন শাসনব্যবস্থায় প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ কিংবা অন্য কোনোভাবে যুক্ত হতে পারবে না হামাস।

প্রস্তাবের বড় অংশজুড়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনা; যেখা‌নে গাজা পুনর্গঠনের কথা বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ইসরায়েল গাজা দখল কিংবা ইজরায়েলি ভূখণ্ডের সম্প্রসারণ করবে না। এছাড়া ইসরায়ে‌লি সৈন্যদের ধাপে ধা‌পে গাজা উপত্যকা থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।

পরিকল্পনায় ভবিষ্যৎ একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনাও উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

সূত্র : বিবিসি