গাজা ভাগাভাগির আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:০১ PM

যত দিন যাচ্ছে ততই ইসরায়েল ও আমেরিকার আসল চরিত্র বেরিয়ে আসছে। হামাসের বিরুদ্ধে প্রতিশোদের নাম করে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামলা চালালেও পুরো ভূখণ্ড দখলই তাদের মূল উদ্দেশ্য। গাজা উপত্যকাকে ‘আবাসন খনি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন দখলদার ইসরায়েলের উগ্রপন্থি অর্থমন্ত্রী বাজায়েল স্মোরিচ। তিনি বলেছেন, যুদ্ধ শেষে গাজার ভূখণ্ড কীভাবে ভাগাভাগি করে নেওয়া হবে সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের আলোচনা চলছে।

সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছে, তেলআবিবে এক আবাসন সম্মেলনে স্মোরিচ এসব মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “আমরা এ যুদ্ধে অনেক অর্থ ঢেলেছি। আমাদের দেখতে হবে আমরা কত শতাংশে এ ভূখণ্ড ভাগাভাগি করছি। গাজা পুনর্গঠনের প্রথম অংশ হিসেবে আমরা এটির ভবনগুলো ইতিমধ্যে ভেঙে ফেলেছি। এখন আমাদের শুধু নতুন করে ভবন তৈরি করতে হবে।”

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিকবার গাজার বাসিন্দাদের নিজ মাতৃভূমি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে সেখানে নতুন ‘চাকচিক্যময়’ শহর তৈরির কথা বলেছেন।

গত মাসে সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র গাজা নিয়ে একটি নতুন প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে। এই প্রস্তাব অনুযায়ী গাজা এক দশকের জন্য মার্কিনিদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং গাজার বাসিন্দাদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হবে। এর বিনিময়ে তাদের কিছু অর্থ দেওয়া হবে। যাদের স্থানান্তরিত করা হবে তারা আর কখনো গাজায় ফিরতে পারবেন না।

গাজাকে ট্রাম্পের চাকচিক্যময় শহরে পরিণত করার পরিকল্পনার তীব্র বিরোধীতা জানিয়েছে ফিলিস্তিন ও আরব দেশগুলো। এছাড়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এতে সায় দেয়নি।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু অবশ্য এগুলো অস্বীকার করেছেন। যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত এ দখলদার দাবি করেছেন, গাজার মানুষকে অন্য জায়গায় সরানোর কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।

২০২৩ সালে গাজাভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধে গাজাকে প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল। এছাড়া ৬৫ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে তারা।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল