নজিরবিহীন ঘোষণা নেপালের

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১১ AM

জেন-জির বিক্ষোভে নেপাল যখন চরম সংকটে, তখন এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিল দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ক্ষমতার লড়াইয়ে নিমগ্ন গণতান্ত্রিক রাজনীতির ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত রেখে নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির সুপারিশে রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেল সংসদ ভেঙে দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী ৫ মার্চ ২০২৬ অনুষ্ঠিত হবে নেপালের নতুন জাতীয় নির্বাচন। এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি রচনা করলো নতুন ইতিহাস।

চলমান রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতিতে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সুশীলা কার্কি। দেশটির প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেল তার সরকারি বাসভবন ‘শীতল নিবাসে’ সুশীলা কার্কিকে শপথ পড়ান। 

সুশীলা কার্কি নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, তাঁর নেতৃত্বে একটি ছোট অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করবে। শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে তিনি শপথ নেন। এরপর সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা আসে।

নেপালের জেন-জির বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধি, প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেল এবং সেনাবাহিনীর প্রধান অশোক রাজ সিগদেলের মধ্যে আলোচনাসাপেক্ষে সুশীলা কার্কিকে প্রধানমন্ত্রী করার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে একমত হন। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের প্রতিবাদে গত সপ্তাহে তুমুল আন্দোলনে নামে নেপালের জেন-জিরা। টানা বিক্ষোভ ও সহিংসতার জেরে শেষ পর্যন্ত পতন ঘটে সরকারের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে হেলিকপ্টারে করে দেশ ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি।