গাজায় বেড়েই চলেছে মৃত্যুর সংখ্যা
-1230950.jpg?v=1.1)
গত ২২ মাসের অধিক সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে গণহত্য ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। সবশেষ ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর ফলে এই উপত্যকাটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজার ২৬৩ জনে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
এতে বলা হয়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৬২ হাজার ২৬৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় ৭১ জন নিহত ও ২৫১ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৩৬৫ জনে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বহু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছেন বা রাস্তায় পড়ে আছেন। উদ্ধারকর্মীরা সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না, ফলে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মানবিক সাহায্য নিতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ১৩৩ জন আহত হয়েছেন। যার ফলে সাহায্য চাইতে গিয়ে নিহত ফিলিস্তিনির মোট সংখ্যা ২ হাজার ৬০ জনে দাঁড়িয়েছে এবং গত ২৭ মে থেকে ১৫ হাজার ১৯৭ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত এক দিনে অনাহার ও অপুষ্টিতে আরও দুইজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে। এ নিয়ে অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৩ জনে, যাদের মধ্যে ১১২ জন শিশু।
এ ছাড়া আলজাজিরার এক ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ইসরায়েলি কোয়াডকপ্টার শেখ রাদওয়ানের একটি স্কুল ভবনের ওপর উড়ছে, যেখানে আশপাশের বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন হয়ে দেখছেন। এরপর কোয়াডকপ্টারটি লক্ষ্যবস্তুতে একটি বিস্ফোরক ফেললে অন্তত ১২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। ওই স্কুলে অনেক ফিলিস্তিনি তাদের অস্থায়ী তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছিল।
আল-আহলি হাসপাতালের একটি চিকিৎসা সূত্র আলজাজিরাকে জানিয়েছে, গাজা সিটির তুফাহ এলাকায় ইসরাইলি বাহিনীর হাতে আরও একজন নিহত হয়েছেন।
এর আগে, গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে আগ্রাসনের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখিও হয়েছে ইসরায়েল। তবুও থেমে নেই তাদের বর্বরতা। এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় বইছে।