বিপর্যয়ে পাকিস্তান; নিহত ৩৫১

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০২৫, ১২:৫৭ PM

পাকিস্তান ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে টানা ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে এখন পর্যন্ত ৩৫০ জনের বেশি প্রাণহানি হয়েছে। এর মধ্যে শুধু খাইবার পাখতুনখোয়াতেই নিহত হয়েছেন অন্তত ৩২৮ জন।

সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, বন্যায় এখনো বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, ভয়াবহ বন্যা এবং ভূমিধসের কারণে বুনের, সোয়াত, মানসেহরা, বাজাউর এবং বাটাগ্রামে ঘরবাড়ি, দোকানপাট এবং অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। খাইবার পাখতুনখোয়া ছাড়াও গিলগিট বালতিস্তানে ১২ জন এবং আজাদ কাশ্মীরে ১১ জন মারা গেছেন।
 
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বুনের জেলার বেশন্ত্রি গ্রামের বাসিন্দারা জানান, পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে দাফন-জানাজার জন্যও গ্রামে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাশের গ্রামের মানুষ এসে সহায়তা করেছেন। তারা জানান, প্রায় প্রতিটি পরিবারেই রয়েছে হতাহতের খবর।
 
প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত হয়েছে বুনের, সোয়াত, বাজাউর, তোরঘর, মানসেহরা, শাংলা ও বটগ্রাম।
 
উদ্ধারকারী সংস্থার তথ্য মতে, শুধু বুনের জেলার বেশন্ত্রি গ্রামেই হাজারো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘরবাড়ি নেই, আশ্রয় নেই, ভেঙে গেছে সড়কগুলোও। উদ্ধারকর্মীরা রাতের আঁধার ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার কারণে কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে মৃতদেহ ও আহতদের ভিড়ে চরম সংকট দেখা দিয়েছে।

ইতোমধ্যেই জরুরি ত্রাণ কার্যক্রম চালু করেছে প্রাদেশিক সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫০ কোটি রুপি। শুধু বুনের জেলাতেই ১৫ কোটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। হেলিকপ্টারে ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে দুর্গম এলাকায়।

প্রাদেশিক উদ্ধার সংস্থা এএফপিকে জানায়, প্রায় ২ হাজার উদ্ধারকর্মী ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার এবং নয়টি ক্ষতিগ্রস্ত জেলায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়োজিত রয়েছেন।