পানি আনতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ নিহত ১০
-1140934.jpg?v=1.1)
গাজার মধ্যাঞ্চলের নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে একটি পানি সংগ্রহ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৬ জনই শিশু। স্থানীয় বাসিন্দা ও চিকিৎসা সূত্রের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
রোববার (১৩ জুলাই) দিনভর গাজার বিভিন্ন আবাসিক এলাকা ও বাস্তুচ্যুতদের শিবিরে চালানো বোমা হামলায় মোট ৯২ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারান। এর মধ্যে শুধু গাজা সিটিতেই নিহত হন ৫২ জন।
এই হামলা এমন সময় ঘটলো যখন ইসরায়েল গাজার সমগ্র জনগোষ্ঠীকে দক্ষিণাঞ্চলে স্থানান্তর করতে বাধ্য করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং সামরিক অভিযান আরও জোরদার করেছে।
গাজা সিটি থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক হানি মাহমুদ জানিয়েছেন, পুরো গাজা জুড়ে তীব্র পানি সংকট বিরাজ করছে। তিনি বলেন, নুসেইরাতসহ অনেক জায়গায় পানির উৎসগুলো দূষিত, কিন্তু প্রচণ্ড তৃষ্ণা মানুষকে বাধ্য করছে সেই পানি সংগ্রহের জন্য আসতে। এভাবেই তারা প্রাণ হারাচ্ছে।
এর আগের দিন, শনিবার (১২ জুলাই) গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত বোমা বর্ষণে আরও অন্তত ১১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ৩৪ জন ছিলেন রাফাহ শহরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর ত্রাণ বিতরণ স্থানে খাবারের অপেক্ষায় থাকা মানুষ।
আল জাজিরার তথ্যমতে, মে মাসের শেষ দিক থেকে জিএইচএফ গাজায় ত্রাণ বিতরণ শুরু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এদিকে, গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে অন্তত ৬৭ জন শিশু প্রাণ হারিয়েছে।