ভারতের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা করতে হবে

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এম কে নারায়ণন। 

তিনি বলেছেন, প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা করতে হবে এবং ভারত বাংলাদেশকে অবশ্যই ভালো বন্ধু হতে হবে। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাইরের কোনো পক্ষকে হস্তক্ষেপ করতে দেওয়া যাবে না।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এম কে নারায়ণন গতকাল শুক্রবার প্রতিবেশী বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। এ ছাড়া, তিনি ভারত-চীন ও ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন। এ ক্ষেত্রে তিনি শান্তি ও কূটনৈতিক সমাধানের ওপর জোর দেন।

কলকাতায় ইন্ডিয়া চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার ফর ইস্টার্ন অ্যান্ড নর্থ ইস্টার্ন স্টাডিজ-কলকাতা (সেনার্স-কে) আয়োজিত ‘গ্লোবাল অ্যান্ড রিজিওনাল জিওপলিটিক্স, সিকিউরিটি অ্যান্ড ইকোনমিকস ইন আ ওয়ার্ল্ড অব আনসার্টেইনটি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ৯১ বছর বয়সী নারায়ণন এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে নারায়ণন বলেন, ‘আমার মনে হয় না, বর্তমানে বাংলাদেশে কী ঘটছে, তা কেউ জানে। ভারত ও বাংলাদেশকে বন্ধু হতে হবে...ভালো বন্ধু। আমি আশা করি, সম্পর্ক উন্নয়নের এবং পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।’

নারায়ণন আরও বলেন, ‘ভারত আজ খুব শক্তিশালী...বাংলাদেশ যা চায়, তা দিতে পারে। বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ সমস্যা রয়েছে এবং আমি আশা করি ভারত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারে। বাংলাদেশ আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশীর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রতিবেশীদের সমস্যা থাকে। ভারত একটি বড় দেশ, তাই সমস্যা মোকাবিলায় তাকে উদার হতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় না ভারত ও বাংলাদেশ কখনো একে অপরের প্রতি অবন্ধুসুলভ হতে পারে এবং আমাদের অন্য কোনো দেশকে হস্তক্ষেপ করতে দেওয়া উচিত নয়। ভাষা, ইতিহাস ইত্যাদি দিক থেকে ভারত ও বাংলাদেশের অনেক মিল রয়েছে।’ নারায়ণন ‘শেখ হাসিনার প্রস্থানের পর বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভারতের জন্য এক বড় ধাক্কা’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি যোগ করেন, ‘আমাদের এই পরিস্থিতি অবশ্যই ঠিক করতে হবে।’

চীনের বিষয়ে নারায়ণন বলেন, ‘চীনের সঙ্গে আমাদের শান্তি দরকার, সংঘাত নয়। উত্তর-পূর্বের বিষয়টি কূটনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে।’