৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল নিউজিল্যান্ড

৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ নিউজিল্যান্ডে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। অবশ্য শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের জেরে কোনও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।
তবে সাউথল্যান্ড এবং ফিওর্ডল্যান্ড অঞ্চলের বাসিন্দাদের সমুদ্র সৈকত এবং সামুদ্রিক এলাকা থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের সাউথ আইল্যান্ডে ৬.৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। কম্পনের জেরে সুনামির কোনও হুমকি আছে কিনা তা মূল্যায়ন করেছে দেশটির দুর্যোগ সংস্থা।
নিউজিল্যান্ডের জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, সাউথল্যান্ড এবং ফিওর্ডল্যান্ড অঞ্চলের বাসিন্দাদের সমুদ্র সৈকত এবং সামুদ্রিক এলাকা থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ তীব্র এবং অস্বাভাবিক স্রোত বিপদ ডেকে আনতে পারে।
নিউজিল্যান্ডের সরকারি ভূতাত্ত্বিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা জিওনেট জানিয়েছে, ৪ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ ভূমিকম্প অনুভব করেছেন। কম্পনের সময় জিনিসপত্র পড়ে যেতে এবং ভবনগুলোতে কম্পনের খবর জানিয়েছে নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম।
নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড সংবাদপত্রের মতে, ফেসবুকে একজন ব্যবহারকারী পোস্ট করেছেন— “আমাদের জিনিসপত্র শেলফ থেকে পড়ে গেছে। বাইরের কাঠের টেবিলটি নাচছে।”
নিউজিল্যান্ডের সাব-অ্যান্টার্কটিক দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে উত্তরে অবস্থিত স্নারেস দ্বীপপুঞ্জের প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ৩৩ কিলোমিটার (২১ মাইল) গভীরে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছে বলে জিওনেট এক সতর্কতায় জানিয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, পূর্বে এই কম্পনের মাত্রা ৭ বলা হলেও পরে তা কমিয়ে আনা হয় এবং এই ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠের প্রায় ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) গভীরে ঘটেছে।
অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে, মূল ভূখণ্ড, দ্বীপপুঞ্জ বা অঞ্চলগুলোতে সুনামির কোনও হুমকি নেই।
প্রসঙ্গত, নিউজিল্যান্ড ভূমিকম্পগতভাবে সক্রিয় “রিং অব ফায়ার”-এ অবস্থিত, যা প্রশান্ত মহাসাগরের বেশিরভাগ অংশকে ঘিরে রেখেছে।