সুস্থ্য থাকতে আমাদের প্রতিদিন ব্যায়ামের প্রয়োজন
আদিম যুগে মানুষকে শিকারির জীবন যাপন করতে হতো। খাবারের জন্য ধাওয়া করতে হতো পশুদের পিছে। পানির জন্য যেতে হতো বহুদূর। সেই জীবন আমরা পেছনে ফেলে এসেছি। এখন ঘরে বসেই পাওয়া যায় খাবার ও পানি। কোথাও যাওয়ার জন্যও আগের মতো পায়ের ওপর ভরসা করে ছুটতে হয় না। স্থল, জল ও আকাশ—সবই এখন আমাদের পদানত। কিন্তু বদলায়নি আমাদের শরীর। আর তাই নিয়মিত আদিম যুগের মতো নড়াচড়া না করলে দেখা দেয় নানা শারীরিক জটিলতা। ব্যথা, যন্ত্রণা, পক্ষাঘাত। সেসব এড়াতে প্রতিদিন কিছু সহজ ব্যায়াম করতে হবে। তাহলে আমরা শারীরিকভাবে ফিট থাকতে পারব।
ফ্রি হ্যান্ডে হাঁটার চেয়ে ঘাড়ে ওজন নিয়ে হাঁটা আরও ভালো। সে জন্য ব্যাগে করে ২ থেকে সাড়ে ৪ কেজি ওজন বা আপনার সাধ্য অনুযায়ী নিয়ে হাটতে পারেন। কিংবা হাঁটতে পারেন উচুঁ পথে।
আপনি যতই ব্যায়াম করুন, দিনে যদি ৬-৭ ঘণ্টা বসেই কাটিয়ে দেন, তাহলে পিছিয়ে পড়তে হবে। কারণ, বসে থাকার চেয়ে দাঁড়িয়ে থাকায় দ্বিগুণ ক্যালরি খরচ হয়। তাই কাজে ব্যবহার করতে পারেন দাঁড়ানোর টেবিল। না পারলে নিয়মিত বিরতি নিয়ে খানিকটা হাঁটুন। লিফটের বদলে ব্যবহার করুন সিঁড়ি।
টানা বসে থাকলেও তার মধ্যেই অল্পবিস্তর হালকা নড়াচড়া করবেন। একটু পরপর আসন বদলাতে পারেন। কিংবা পায়ের অবস্থান। মুদ্রাদোষের মতো হাতের নড়াচড়া। কারণ, এগুলোতেও খানিকটা ক্যালরি খরচ হয়।
দাঁড়ানো অবস্থায় হাত সোজা ওপরে তুলুন। একদম সোজা রেখে হাত ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে আনুন। এভাবে একেক হাত ১০ বার করে ঘোরান।
প্রকৃতিগতভাবে আমাদের পা মাটিকে স্পর্শ করার কথা। তাতে আমাদের শরীর পায়ের অবস্থান সম্পর্কে টের পায়। কিন্তু এখন আমরা সব সময় জুতা পরে থাকি। পা মাটিকে স্পর্শই করে না। সুযোগ পেলেই তাই খালি পায়ে চলা উচিত। আর দিনে মিনিটখানেক হাত দিয়ে পা মেসেজ করুন।
প্রতিদিন ব্যায়ামের মাধ্যমে আমরা সুস্থ্য থাকার চেষ্টা করব । নিয়মিত ব্যায়াম আমাদের শারীরিক এবং মানসিক উভয় সুস্থতার জন্য অত্যাবশ্যক।