ঘটন-অঘটনের ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে নেপাল
নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম সেমি ফাইনালে ভুটানকে উড়িয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে পাত্তাই পায়নি ভুটানের মেয়েরা। ব্রাজিল-জার্মানির সেভেন আপের পুনরাবৃত্তি করে বাংলাদেশ। ৭-১ গোলে পরাজিত হয় ভুটানের মেয়েরা। তবে দিনের আরেক সেমি ফাইনালে হয়েছে নাটকীয়তা। যেখানে ভারতকে টাইব্রেকারে হারিয়েছে নেপাল।
ম্যাচে ফুটবলের লড়াই যেমন জমেছে, তেমনি শক্তির লড়াইও দেখছেন দর্শকরা! মূলত নেপালের একটি গোল নিয়ে নাটকীয়তার শুরু। যে ঘটনায় ৬৭ মিনিট বন্ধ ছিল খেলা।
ম্যাচের ৭২ মিনিটের সময় সংগীতা বাসফো দুর্দান্ত এক দূরপাল্লার শটে গোল করেন। তাতে এগিয়ে যায় ভারত। ভারতীয় ফুটবলাররা যখন নিজেদের ডাগআউটের সামনে গিয়ে উদ্যাপনে ব্যস্ত, ঠিক তখনই মধ্যমাঠে বল বসিয়ে নেপালি দল খেলা শুরু করে দেয়। ফাঁকা মাঠে বল জালেও পাঠিয়ে দেন নেপালের প্রীতি রাই।
এই সময় ভারতীয় ফুটবলারদের কেউই মাঠে জায়গামতো ছিলেন না। টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা যায় ভুটানি রেফারি ওম চাকি খেলা শুরুর বাঁশিও বাজিয়েছেন। ভারতীয় দল প্রতিবাদ জানায় স্বাভাবিকভাবেই। রেফারিও তাঁর ভুল বুঝতে পারেন। কিন্তু এই সময় পাল্টা প্রতিবাদ জানায় নেপাল দল।
গ্যালারি থেকে দর্শকরা বোতল ছুড়েন। দশরথ স্টেডিয়ামে নিরাপত্তার জন্য ভারতীয় ফুটবলাররাও মাঝমাঠে আশ্রয় নেন। পরে অবশ্য নেপাল মাঠে ফিরলে খেলা শুরু হয়। নেপালের স্ট্রাইকার সাবিত্রা বাসনেত ম্যাচে ফেরান সমতাও।
নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলের সমতার পর খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ভারতকে ৪-২ গোলে হারায় নেপাল। গতবারের মতো এবারও উইমেন’স সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে নেপাল ও বাংলাদেশ।
একই ভেন্যুতে আগামী বুধবার শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। গতবার নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে এই প্রতিযোগিতায় প্রথম শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ।