লাওতারা মার্টিনেজের দুর্দান্ত গোলে কোপার সেমিতে আর্জেন্টিনা
কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনা-চিলির ম্যাচে চিলির পোস্টে ২০ শটের ৭টি ছিল গোলে। আর্জেন্টিনার ৪টি বড় সুযোগ নষ্ট করেন অভিজ্ঞ গোলকিপার ক্লাদিও ব্রাভো। মনে হচ্ছিল চিলির বিপক্ষে আবারও ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হবে মেসিদের।
তবে ৮৮ মিনিটে আর্জেন্টাইন শিবিরে আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন লাউতারো মার্তিনেজ। লিওনেল মেসির কর্নার থেকে জটলার ভেতর থেকে দুর্দান্ত শটে আর্জেন্টিনাকে জয়সূচক গোল এনে দেন জুলিয়ান আলভারেজের বদলি হিসেবে খেলতে নামা ইন্টার মিলানের এ স্ট্রাইকার।
বাংলাদেশ সময় বুধবার (২৬ জুন) নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে চিলিকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) কোপা আমেরিকার শতবর্ষী আসরের শিরোপা জয়ের অষ্টম বছর উদযাপন করবে চিলি। ঠিক ৮ বছর আগে ২০১৬ সালে নিউ জার্সির মেটলাইট স্টেডিয়ামে মেসি আর আর্জেন্টিনাকে কাঁদিয়ে শিরোপা উৎসব করেছিল চিলিয়ানরা।
সেই মাঠে ৮ বছর পর চিলিকে হারিয়ে স্বস্তির জয় ফিরিয়ে আনলো আর্জেন্টিনার। স্বস্তির জয় বলার কারণ ২০২১ সালে গ্রুপপর্বের ম্যাচে মেসিদের রুখে দিয়েছিল ব্রাভো-সানচেজরা। এ ম্যাচেও ছিল প্রায় একই চিত্র। প্রথমার্ধে গোলের জন্য প্রতিপক্ষের পোস্টে ১৩টি শট নেয় আর্জেন্টিনা। এর ৩টি শট গোলপোস্টে থাকলেও গোল পাওয়া হয়নি। বিরতির পর নিকোলাস গঞ্জালেস কাঁপান চিলির গোলপোস্ট। শুধু তাই নয় দুদিন আগে ৩৭তম জন্মদিন পালন করা প্রথমার্ধে পোস্ট কাঁপান মেসি। ৬৮ মিনিটেও নষ্ট করেন গোলের সুযোগ। তবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের শেষ পর্যন্ত গোল এনে দেন লাওতারো মার্তিনেজ।
এদিকে ৭১ মিনিট পর্যন্ত আর্জেন্টাইন গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজের কোনো পরীক্ষা নিতে পারেনি চিলি। ম্যাচের ৭২ মিনিটে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার রদ্রিগো এচেভেরিয়ার প্রথম শট গোল পেতে পারত চিলিয়ানরা। তবে ডান পাশে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্তভাবে দলকে রক্ষা করেন অভিজ্ঞ এমি মার্তিনেজ। এর ৩ মিনিট পর ডি বক্সের মাথা থেকে আবারও এচেভেলিয়ার শট রুখে দেন বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন গোলকিপার।
তখনও গোলশূন্য দুই দল। এরপর ৮৭ মিনিটে কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। চলতি কোপায় এবং ক্যারিয়ারের প্রথম অলিম্পিক গোল পাওয়ার লক্ষ্যে কর্নার থেকে সরাসরি পোস্টে শট করেছিলেন মেসি। তবে কর্নারের বিনিয়মে আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে গোলবঞ্চিত করেন চিলিয়ান অধিনায়ক।
পরের কর্নার শটটি থেকে গোল পায় আর্জেন্টিনা। ৮৮ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর জটলা থেকে বল চিলি জালে পাঠান লাউতারো মার্তিনেজ। ভিএআরের মাধ্যমে পরীক্ষা শেষে গোলটির বৈধতা দেন রেফারি।
ম্যাচের যোগ করা সময়ে গোল ব্যবধান দ্বিগুন করার সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। পঞ্চম মিনিটে ডি মারিয়া বল নিয়ে এককভাবে ঢুকে পড়েন চিলির ডি-বক্সে। সামনে ছিলেন শুধু গোলকিপার।
নিজে শট না নিয়ে বল বাড়ান লাউতারো মার্তিনেজের দিকে। তার রুখে দিয়ে আবারও বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের গোল বঞ্চিত করেন ক্লাদিও ব্রাভো।
টানা দুই ম্যাচ জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে এ-গ্রুপ থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হলো আর্জেন্টিনার। শেষ ম্যাচে পেরুর বিপক্ষে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।
এদিকে দিনের অন্য ম্যাচে পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়েছে কানাডা। ২ ম্যাচে তাদের ৩ পয়েন্ট। ফলে এ-গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয়তে রয়েছে তারা। ২ ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট করে পাওয়া চিলি ও পেরু যথাক্রমে রয়েছে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে।