হংকংকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নকআইট পর্বে ফিলিস্তিন
এশিয়ান কাপে ইতিহাস গড়লো ফিলিস্তিন। হংকংকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিন। এশিয়ান কাপে এটি তাদের প্রথম জয়ও।
দোহার আবদুল্লাহ বিন খলিফা স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই দাপুটে ছিলো ফিলিস্তিন। ম্যাচের ১২ মিনিটে হংকংয়ের জালে প্রথম বল জড়ান ওদায় দাবাগ। ৬০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন এই স্ট্রাইকার। ফিলিস্তিনকে তৃতীয় গোল এনে দেন জাইদ কুনবার। পুরো ম্যাচে ৬৮ শতাংশ বল পজেশন ছিলো ফিলিস্তিনের।
জয়ের পর সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের জাতীয় দলের অধিনায়ক মুসাব আল-বাত্তাত। তিনি বলেছেন, “সমর্থকদের ধন্যবাদ যারা প্যালেস্টাইন এবং ফিলিস্তিনের জাতীয় দলকে সমর্থন করতে এসেছেন। আমাদের হৃদয় থেকে আপনাকে ধন্যবাদ। মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব।"
এই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের তৃতীয় দল হিসেবে নকআউট পর্বে পৌঁছেছে দলটি। তিন ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে পরের রাউন্ডে গেছে ইরান। আর দ্বিতীয় হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ফিলিস্তিন মূলত তৃতীয় হওয়া দলগুলোর মধ্যে সেরা চারটির একটি হওয়ায় শেষ ষোলোয় যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের বর্বর এই হামলায় এখন পর্যন্ত ২৫ হাজার ৪৯০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৬৩ হাজার মানুষ।
ফিলিস্তিনিদের মনোবল ভাঙার জন্য চরম নৃশংসতার আশ্রয় নিচ্ছে দখলদার দেশ ইসরায়েল। কোন কিছুই দেখছে না, নির্বিচারে হামলা করে যাচ্ছে। তাদের হামলার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না কিছুই। স্কুল, মসজিদ, হাসপাতাল, বেসামরিক স্থাপনা এমনকি শরণার্থী শিবিরও তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে।
এদিকে গাজায় ওষুধ, খাবার, পানি কিছুই প্রয়োজনমাফিক প্রবেশ করতে দিচ্ছে না দখলদার বাহিনী। ফলে চরম মানবিক বিপর্যয়ে দিনাতিপাত করছে ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি।
এরই মাঝে গাজার খান ইউনূসের ৯০ হাজার বাসিন্দা ও ৪ লাখ ২৫ হাজার শরণার্থীদের ৪ বর্গ কিলোমিটারের ওই এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
গাজায় এমন মানবিক বিপর্যয়ের মাঝেও মানসিক মনোবল নিয়ে ফিলিস্তিনি ফুটবলাররা এ জয় এনে দিলো।