এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা: ভুল করে অন্য কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী; সঠিক কেন্দ্রে পৌঁছে দিলেন পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:১৩ PM

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি)। এর মধ্যে রাজধানীর মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের আওতাধীন দুটি কেন্দ্রে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় প্রায় ৬০০০ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এরমধ্যে ৩০ জন পরীক্ষার্থী ভুল করে অন্য কেন্দ্রে চলে যায়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে ডিএমপির ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের দক্ষ ব্যবস্থাপনায় দ্রুত সময়ে তাদের সঠিক কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা পরীক্ষার্থীরা যাতে যানজটে আটকা না পড়েন সেদিকে লক্ষ্য রেখে মোটরসাইকেলে করে তাদের কেন্দ্রে পৌঁছে দেন। কেন্দ্র দুটির মধ্যে আইডিয়াল-মুগদা কেন্দ্রের পরিবর্তে আইডিয়াল-মতিঝিল কেন্দ্র এবং আইডিয়াল-মতিঝিল কেন্দ্রের পরিবর্তে আইডিয়াল-মুগদা কেন্দ্রে চলে যান পরীক্ষার্থী।

ডিএমপির ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মইনুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মতিঝিল ট্রাফিক পুলিশের আওতাধীন এলাকায় দুটি কেন্দ্রে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রায় ৬ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে প্রায় ৩০ জন পরীক্ষার্থী ভুল করে অন্য কেন্দ্র কেন্দ্রে চলে যান। তাৎক্ষণিকভাবে সময় স্বল্পতা ও পরিস্থিতি বিবেচনায় পরীক্ষা শুরুর আগেই সঠিক কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ এ পরীক্ষার কথা চিন্তা করে কেন্দ্র দুটিতে আমাদের কুইক রেসপন্স টিম আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল।

পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বপালনকারী ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের কর্মকর্তা জানান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আগে থেকেই এ বিষয়ে প্রস্তুতি রাখতে বলেছিলেন। নির্দেশনা মোতাবেক মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্টরা কেন্দ্র ভুল করা পরীক্ষার্থীদের মোটরসাইকেলে করে সঠিক কেন্দ্রে পৌঁছে দেন।

ডিএমপির ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের এ ধরনের প্রশংসনীয় কর্মকাণ্ডে পরীক্ষার্থীরা ও অভিভাবকরা ট্রাফিক পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

জানা যায়, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। তবে পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষা চলে বেলা ১১টা পর্যন্ত। ঘণ্টাব্যাপী দেশের ১৯টি পরীক্ষা কেন্দ্রের ৪৪টি ভেন্যুতে একযোগে অনুষ্ঠিত হয় এ পরীক্ষা। ডাক্তার হওয়ার আশায় এবারের পরীক্ষায় এক লাখ চার হাজার ৩৭৪ শিক্ষার্থী অংশ নেন।