প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের বছর শুরু হচ্ছে ‘বই উৎসব’ দিয়ে
প্রতি বছরের মতো এ বছরও প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরের সকল শিক্ষার্থীর মাঝে নতুন বছরের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম ‘বই বিতরণ উৎসব-২০২৪ অনুষ্ঠিত হবে। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা হাতে পাবে নতুন বই। তবে অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ঘরে ফিরতে হবে কিছুটা অপূর্ণতাকে সঙ্গী করে। কেননা, দেশের অনেক উপজেলায় এ দুই শ্রেণির সব বই পৌঁছায়নি।
আজ সোমবার (১ জানুয়ারি) দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার কথা রয়েছে।
নির্বাচনী আচরণবিধির বাধ্যবাধকতায় এই উৎসবে উপস্থিত থাকবেন না মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা। এবার বই উৎসবে প্রধান অতিথি থাকবেন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও)। কেন্দ্রীয়ভাবে প্রাথমিকের বই উৎসব হবে রাজধানীর মিরপুরের ন্যাশনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই মন্ত্রী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় মাধ্যমিক স্তরে বই উৎসব হবে না।
গতকাল রবিবার বছরের শেষ দিন শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে বই উৎসবের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনা মূল্যে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি।
দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের ২০১০ সাল থেকে বিনা মূল্যে নতুন বই দিয়ে আসছে সরকার। তবে প্রতিবারই অভিযোগ ওঠে নিম্নমানের বই সরবরাহের। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ বছরের জন্য প্রাথমিকে ৯ কোটি ৩৮ লাখের বেশি এবং মাধ্যমিক স্তরে সাড়ে ২১ কোটির বেশি বই ছাপানো হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্র জানায়, অষ্টম ও নবম শ্রেণির তিনটি বই ছাপানোর কাজ এখনো শেষ হয়নি। এমনকি ছাপা হলেও পরিবহনসংক্রান্ত জটিলতায় বেশ কিছু উপজেলায় এ দুই শ্রেণির সব বই পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাক্রম অনুসরণে সকল ক্যাটাগরির বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে শতভাগ আকর্ষণীয় নতুন পাঠ্যপুস্তক প্রদান করে আসছে।
পাঠ্যপুস্তক আকর্ষণীয় করার জন্য ২০১২ শিক্ষাবর্ষ হতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তক হোয়াইট পেপার, কভার পৃষ্ঠা, হিট থার্মাল পারফেক্ট বাইন্ডিংসহ চার রঙের আকর্ষণীয় মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ করা হচ্ছে।
২০১৩ শিক্ষাবর্ষ হতে পরিমার্জিত কারিকুলাম অনুযায়ী প্রাথমিকস্তরের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ হচ্ছে। বর্তমান বিশ্ব এবং সমসাময়িক পরিস্থিতিকে পরিমার্জিত কারিকুলামে বিবেচনায় রাখা হয়েছে।