রাবিতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি সংশোধনের দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৫ AM

'বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) নীতিমালা' সংশোধন করে বিজ্ঞপ্তিতে মাদ্রাসায় সহকারী মৌলভি ও প্রভাষক পদে নিয়োগে 'ইসলামিক স্টাডিজ' বিভাগকে পুনরায় সংযুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। 

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বরে এমপিও নীতিমালা সংশোধন করে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীদের নীতিমালা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অথচ এনটিআরসিএর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের প্রথম থেকে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা-২০২০ সাল পর্যন্ত স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসায় সহকারী মৌলভি ও প্রভাষক পদে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনের সুযোগ পেত এবং অনেকেই এখনো মাদ্রাসায় সহকারী মৌলভি ও প্রভাষক পদে চাকরিরত আছে।  

মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জুবায়ের আলম বলেন, এ নীতিমালা প্রয়োগ করে আমাদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমাদেরকে সুযোগ দিতে হবে। ফাজিল-কামিলে যা পড়ানো হয় আমরা তার থেকেও মানসম্মত শিক্ষা অর্জন করি। অথচ এ নীতিমালা প্রণয়ন করে আমাদেরকে সকল প্রকার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। যে অন্যায্য ও অন্যায়মূলক নীতিমালা জারি করা হয়েছে তা আমরা মানি না। নিঃসন্দেহে এটা বৈষম্যমূলক। অবিলম্বে এ নীতিমালা বাতিল করতে হবে। যদি তা না করা হয় তবে আমরা কঠোর আন্দোলনের ডাক দেব। 

মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আ. ন. ম মাসদুর রহমান বলেন, এনটিআরসিএর ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মাদ্রাসায় সহকারী মৌলভি ও প্রভাষক পদে আবেদনে অযোগ্য ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এটি খুবই দুঃখজনক ও ঘৃণ্য একটি সিদ্ধান্ত। আমরা এ অন্যায় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অনতিবিলম্বে আমরা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। এর আগে এনটিআরসিএর শিক্ষক নিয়োগের প্রথম থেকে ১৭তম নিবন্ধনে আবেদন করার সুযোগ ছিল। এ বিভাগের  অনেকেই যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে মাদ্রাসায় সহকারী মৌলভী ও প্রভাষক পদে চাকুরীরত আছেন। তাহলে এখন কেন  ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের সাথে এমন বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে? সক্ষমতা ও যোগ্যতা থাকার পরেও কেন ইসলামিক স্টাডিজের শিক্ষার্থীরা আগের মতো এসব পদে আবেদন করতে পারবে না এমন প্রশ্নও রাখেন তিনি।

নীতিমালা সংশোধন না করলে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন করার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।

মানববন্ধনে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী কাউসার হাবিবের  সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন, অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম, মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জুবায়ের আলম প্রমূখ। এসময় প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষক -শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।