তিনদিনের ব্যবধানে হিলিতি কমেছে পেঁয়াজ-সয়াবিন তেলের দাম

প্রতিবছর রমজান এলেই বেড়ে যায় নিত্যপণ্যের দাম। তবে এবার কিছুটা ব্যাতীক্রম দেখা যাচ্ছে। তিন দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে সব ধরনের পেঁয়াজ ও সয়াবিন তেলের দাম। কেজি প্রতি দেশি পেঁয়াজ ৫ থেকে ১০ টাকা কমে ২০ থেকে ৩০ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৫ টাকা কমে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারে বোতল জাত সয়াবিন তেল না থাকলেও খোলা সয়াবিন তেলের সরবরাহ প্রচুর রয়েছে। এতে করে কমতে শুরু করেছে দাম। বর্তমানে লিটার প্রতি ৫ টাকা কমে ১৭০ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে হিলি বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা যায়।
বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে কমতে শুরু করেছে দাম বলছেন, খুচরা ব্যবসায়ীরা। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে।
এক ক্রেতা বলেন, রমজান মাসে বিশেষ করে তেল এবং পেঁয়াজের চাহিদা বেশি হয়। এ বছর পেঁয়াজের দাম অনেকটাই কম, তবে সয়াবিন তেলের বোতল পাওয়া না গেলেও খোলা তেলের দাম কিছুটা কমেছে। বর্তমানে ১৭০ টাকা লিটার হিসেবে ৫ লিটার কিনলাম। ৫ কেজি পেঁয়াজও কিনলাম।
তিনি আরও বলেন, সয়াবিন তেলের দাম যদি ১২০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে থাকতো তাহলে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের জন্য অনেকটাই সুবিধা হতো।
হিলি বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, কয়েকদিনের তুলনায় হিলির বাজারে খোলা সয়াবিন তেলের দাম কিছুটা কমেছে। লিটার প্রতি ৫ টাকা কমে বর্তমানে ১৭০ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে। কোম্পানিগুলো বোতল জাত সয়াবিন তেল না দিলেও খোলা তেলের প্রচুর সরবরাহ রয়েছে। আমরা কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করছি।
এক পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে সেই সঙ্গে দেশের বাজারে প্রচুর পরিমাণ দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ রয়েছে। এতে করে পেঁয়াজের দাম অনেকটাই কমেছে। দেশি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে এবং ভারতীয় ভালো মানের পেঁয়াজ ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি বলেন, আশা করা যাচ্ছে রমজান মাসে পেঁয়াজের দাম আর বৃদ্ধি পাবে না।