মোংলা বন্দরে নিলামে উঠছে ৭০ বিলাসবহুল গাড়ি
মোংলা বন্দরে আমদানিকারকরা নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে গাড়ি ছাড় না করায় আটকে থাকা ৭০টি দামি গাড়ি সোমবার নিলামে উঠেছে।
আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোংলা কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার মো. রুবেল হাসান।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক সূত্রে জানা গেছে, মোংলা বন্দরে আমদানির পর ৩০ দিনের বেশি সময় ধরে শেডে রাখা ৩০০টি গাড়ি গত মাসে কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর মধ্যে এলিয়ন, ফিল্ডার, হাইব্রিড, প্রাডো ল্যান্ড ক্রুজার, ভেসেল এবং হারিয়ারসহ ৭০টি বিলাসবহুল গাড়ি সোমবার নিলামে তোলা হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মো. মাকরুজ্জামান বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় এখানে গাড়ি আমদানি বেড়েছে। তবে বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে খালাসের পর দীর্ঘ সময় পর্যন্ত গাড়ি ছাড় না করায় এসব গাড়ি দ্রুত কাস্টমসকে নিলামের মাধ্যমে বিক্রির জন্য তাগিদ দেওয়া হয়। পাশাপাশি দীর্ঘদিন গাড়ি বন্দরে পড়ে থাকায় শেডের জায়গা অপচয় হচ্ছে এবং গাড়িগুলো অকেজো হয়ে যাচ্ছে।
মোংলা কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার মো. রুবেল হাসান জানান, ২০০৯ সালের ৩ জুন থেকে মোংলা বন্দরে গাড়ি আমদানি শুরু হয় এবং বর্তমানে মোংলা কাস্টমসের রাজস্ব আয়ের ৫২ শতাংশ আসে আমদানিকৃত গাড়ির শুল্ক থেকে। তবে এসব গাড়ি দীর্ঘদিন বন্দরে পড়ে থাকলে অন্যান্য পণ্য রাখার জায়গায় সমস্যা তৈরি হয়।
তিনি আরও জানান, নিলাম প্রক্রিয়া চালু রাখলে ব্যবসায়ীদের সুবিধা হবে এবং সময়মতো সরকারের রাজস্ব আদায় নিশ্চিত হবে। আমদানিকারকরা সময়মতো গাড়ি ছাড় না করলে তা নিলামে উঠতে বাধ্য হয়। সোমবার মোংলা বন্দরে ৩০০টি গাড়ির মধ্যে ৭০টি বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে তোলা হয়েছে এবং দরপত্র জমা দিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও মোংলা কাস্টমস হাউসে ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করেছেন। আগামী ২৯ জানুয়ারি দরপত্র খোলা হবে এবং যাচাই-বাছাই শেষে সর্বোচ্চ দরদাতাকে গাড়ি বিক্রির আদেশ দেওয়া হবে।
গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোংলা কাস্টমস হাউসে ১৪টি নিলামে ২২০০টি গাড়ি তোলা হয়েছিল, তবে সেগুলোর মধ্যে মাত্র ২০০টি গাড়ি বিক্রি হয়েছিল।