ভারত থেকে আলু-পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) এ বন্দর দিয়ে আলু ও পেঁয়াজবাহী কোনো ট্রাক প্রবেশ করেনি। তবে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও গত তিনদিনে এ বন্দর দিয়ে এসেছে ৩৭০ মেট্রিক টন চাল।
জানা গেছে, ভারতের অভ্যন্তরে আলু ও পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এ দুই পণ্য রপ্তানি বন্ধ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্থলবন্দর পরিচালনকারী প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মাইনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে মঙ্গলবার আমদানি চালবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। তবে পেঁয়াজ ও আলুবাহী কোনো ট্রাক প্রবেশ করেনি। ভারত কেন পেঁয়াজ ও আলু রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে তা জানি না। আবার কবে আসবে তাও নিশ্চিত নই।’
মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় সাড়ে ৫ মাস পর সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে গত রোববার চাল আমদানি শুরু হয়। ওইদিন চারটি ট্রাকে ২০০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়। সোমবার দুটি ট্রাকে ৭০ মেট্রিক টন ও মঙ্গলবার আরও দুটি ট্রাকে ১০০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে।’
আমদানিকারক আলমগীর জুয়েল বলেন, ‘সকাল থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ ও আলু ভর্তি কোনো ট্রাক প্রবেশ করেনি। আগের এলসি (ঋণপত্র) করা পেঁয়াজও দিচ্ছেন না ভারতের ব্যবসায়ীরা।’
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি বন্ধ হয়ে গেলে আলু ও পেঁয়াজের দাম আরও বেড়ে যাবে।
এদিকে, আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও গত তিনদিনে এ বন্দর দিয়ে এসেছে ৩৭০ মেট্রিক টন চাল। সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আমদানি রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি কাজী শাহাবুদ্দীন বলেন, ‘চাল আমদানিতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের শর্তের কারণে আগ্রহ হারিয়েছেন অনেক আমদানিকারক। এরপরও যারা অনুমোদন নিয়ে চাল আমদানি করছেন তারা খুব বেশি লাভবান হতে পারবেন না। ভারতেও কিন্তু চালের দাম কম নয়। তাই আমদানি করা চাল বাজারমূল্যে ইতিবাচক কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না। অর্থাৎ চালের দাম কমবে না। তবে সরবরাহ কমে গেলে বাজারে যে সংকট তৈরি হতো চালের, সে সংকট থাকবে না।’