বাজারে কিছুটা বইতে শুরু করেছে স্বস্তির হাওয়া
গত দুই মাসের অধিক সময় ধরে ব্যবসায়ীরা নানান অজুহাতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে আসছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষেরা। দুই মাস ধরেই সবজির বাজার অনেকটাই অস্থির ছিল। বেশির ভাগ সবজির দাম ছিল শত টাকা ছুঁইছুঁই। তবে, শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় বাজারে স্বস্তির হাওয়া বইতে শুরু করেছে। কমেছে বেশ কিছু পণ্যের দাম। প্রায় সব ধরনের সবজিতে কমেছে গড়ে ২০ টাকা। এতে দূর হচ্ছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের হাহাকার।
কয়েক দিন আগেও কাঁচামরিচের দর নিয়ে ক্ষোভ ছিল ভোক্তাদের মাঝে। দাম উঠেছিল ৫০০ টাকায়। এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে দেড়শ টাকায়।
সরকার দাম নির্ধারণ করে দেওয়ায় এবং আমদানিতে ডিমও এখন অনেকটা ভোক্তার নাগালে। ১৫ টাকা কমে ডিমের ডজন ১৪৪ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দামও কেজিতে কমেছে ১০ টাকা।
এ ছাড়া বেগুন, পেঁপে, করলা, ঢ্যাঁড়স, পটল, টমেটো, কপি, ধুন্দুল, কাঁকরোল, শসাসহ সবধরনের শাকের দামও কমেছে। তবে, ৩৫ শতাংশ শুল্ক ছাড়ের পরও চালের দাম রহস্যজনক কারণে বাড়তি। আমদানির পরও পেঁয়াজের দাম হঠাৎ চড়া।
ক্রেতারা বলছেন, আগের তুলনায় কিছু পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে শাক-সবজির দাম অনেকটাই কমে এসেছে। তবে, কিছু পণ্যের দাম এখনও বাড়তি। সরকার কঠোর পদক্ষেপ এবং সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলে বাজার নাগালে রাখা সম্ভব।
বিক্রেতারা বলছেন, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে প্রায় ২০ টাকা কমেছে সবজির দাম। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে সবজির দাম আরও কমে যাবে। আগের তুলনায় এখন সরবরাহও ভালো।
এদিকে, বাজার তদারকিতে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বেশি দাম ও অনিয়ম দেখলেই করা হচ্ছে জরিমানা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজার সিন্ডিকেট ভাঙার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের অস্বাভাবিক মুনাফা রোধে সরকারকে সার্বক্ষণিক সক্রিয় থাকতে হবে।