পোশাক শ্রমিকরাও পাবেন টিসিবির পণ্য; উদ্বোধন আগামীকাল
এবার তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকরাও ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য পাবে বলে জানিয়েছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরই অংশ হিসেবে চলতি মাসে পোশাক শ্রমিকদের জন্য ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু করতে চলেছে সরকার। এ কর্মসূচির আওতায় পোশাকশ্রমিকেরাও ভর্তুকি মূল্যে তেল, ডাল ও চাল কিনতে পারবেন।
আগামীকাল বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় গাজীপুরের টঙ্গীতে অবস্থিত জাবের অ্যান্ড জুবায়ের ফেব্রিকস কারখানার সামনে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এ সময় বাণিজ্যসচিব ও শ্রমসচিব এবং পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতিসহ টিসিবির কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
শ্রম ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে তৈরি পোশাকশ্রমিকদের জন্য এ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে এসব পণ্য বিতরণ করা হবে।
টিসিবি সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল সীমিত পরিসরে এ কর্মসূচি চালু করা হবে। এতে তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের এক হাজার পরিবারের মধ্যে পণ্য বিতরণ করা হবে। এর আওতা পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে।
তিনটি পণ্যের মধ্যে একজন গ্রাহক দুই লিটার ভোজ্যতেল, দুই কেজি ডাল ও পাঁচ কেজি চাল প্যাকেজ আকারে পাবেন শ্রমিকেরা।
গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকেরা বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নামেন। এসব দাবির মধ্যে শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালুও ছিল। এ নিয়ে আলোচনার পর ২৪ সেপ্টেম্বর পোশাকশিল্পের মালিক-শ্রমিকপক্ষ একটি যৌথ ঘোষণা দেয়। এতে জানানো হয়, আপাতত শ্রমঘন এলাকায় টিসিবির মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিকেও শ্রমঘন এলাকায় সম্প্রসারিত করা হবে। আর শ্রমিকদের জন্য স্থায়ী রেশন–ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে প্রস্তাব করা হবে।
পরে ২৯ সেপ্টেম্বর এক অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানান, দেশের ৪০ লাখ শ্রমিককে টিসিবির ন্যায্যমূল্যের পণ্য দেবে সরকার। অক্টোবর মাস থেকে শ্রমঘন এলাকায় এ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
বর্তমানে দেশে ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারের কাছে প্রতি মাসে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি করছে টিসিবি। পরিবার কার্ডধারী একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার ভোজ্যতেল, দুই কেজি মসুর ডাল ও পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারেন। এ ছাড়া মাঝেমধ্যে আরও দু-একটি পণ্যও বিক্রি করে টিসিবি।