আজ থেকে খোলা থাকবে দেশের সব তৈরি পোশাক কারখানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১৮ AM

বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি তৈরি পোশাক। গত দুই সপ্তাহ ধরে শ্রমিক অসন্তোষের জেরে বন্ধ রয়েছে দেশের দুই শতাধিক কারখানা। এতে দেশের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এ অবস্থায় আজ রবিবার থেকে দেশের সব তৈরি পোশাক কারখানা খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে। আর যদি কোনো কারখানায় অস্থিরতা তৈরি হলে বিশেষ ব্যবস্থা নেবে সরকার। 

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিজিএমইএ ভবনে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা জানান শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। এ সময় কারখানা মালিকরা জানান, শ্রমিক অসন্তোষের কারণে ২৭০টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। 

শ্রমিক অসন্তোষের কারণে তৈরি পোশাক খাতে ২ সপ্তাহ ধরে চলছে অস্থিরতা। সাভারের আশুলিয়া ও গাজীপুরের একাধিক কারখানায় হামলার বন্ধ করে দেয়া হয়। শনিবার কারখানা খুললেও দুপুরের পর শ্রমিকরা উৎপাদন বন্ধ রেখে চলে যায়।
  
ব্যবসায়রীরা বলছেন, হামলায় বহিরাগতরা জড়িত। কারখানা বন্ধ থাকলে ক্রেতা অন্য দেশে চলে যাওয়ার আশংকা তাদের। 
 
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, ‘মজুরি বাড়াতে হবে, সুগোগ সুবিধা বাড়াতে হবে, আমাদের সাধ্যের মধ্যে থাকলে অবশ্যই করব। আপনারা যা চান আমি লিখে দেব। ফ্যাক্টরি না চললে না চলবে। উৎপাদন বন্ধ হলে হবে। কিন্তু আমাদেরকে শ্রমিকদেরকে বহিরাগত দিয়ে মার খাওয়াবেন না।’

বক্তারা বলেন, শ্রমিকদের একটি ফিঙ্গার প্রিন্ট করতে দেওয়া হয়েছিল এই কারণে যে এখানে শ্রমিকদের ডাটা সংরক্ষণ হবে। সেই ডাটাবেজ দিয়ে কালো তালিকা করা হয়েছে যাতে অন্য ফ্যাক্টরিতে সেই শ্রমিকরা চাকরি না পায়।

বিজিএমইএর সভায়, বেতন বাড়ানো, চাকরির নিরাপত্তাসহ বৈষম্য কমানোর দাবি জানান শ্রমিক নেতারা। কারখানার নিরাপত্তা ও বিশৃঙ্খলা রোধে তাৎক্ষণিক শাস্তির কথা জানায় নিরাপত্তা বাহিনী।  

৯ ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মইন খান, ‘কারখানার সঙ্গে জড়িত নয় এরকম কিছু ব্যক্তি বা লোক কারখানায় এসে হামলা চালাচ্ছে। আমাদের যারা শ্রমিক আছে তাদেরকে কারখানা থেকে বেড় করে নিয়ে আসছে এবং তখন আমরা মোতায়েন জোরদার করলাম।’

শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে সেল গঠন করা হয়েছে। মামলা তুলে নেয়াসহ তাদের ন্যায্য দাবি পূরনের আশ্বাস দেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা। 

শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘বকেয়া বেতন মূল সমস্যা, সেটাকে আগে চিহ্নিত করতে হবে। এখানে একটা অনুশীলন দীর্ঘ দিন ধরে ছিল যে ইনসেনটিভ, ঋণ দেওয়া। সবার মধ্যে না অনেক মালিকের মধ্যে এ প্রবণতাটা আছে যে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও সরকারের ইনসেনটিভের জন্য বসে থাকা হয়।’ 

পোশাক শ্রমিকদের স্বল্প মূল্যে টিসিবির পণ্য দেওয়ার কথাও জানান উপদেষ্টা।