অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম মাস আগস্টে কমেছে মূল্যস্ফীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৬ AM

কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং আন্দোলন প্রতিহত করতে দেশব্যাপী কারফিউ জারিসহ বিভিন্ন কারণে জুলাই মাসে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিল মূল্যস্ফীতির পারদ। নতুন সরকারের প্রথম মাসেই তা কিছুটা কমেছে। আগস্টের ৫ তারিকে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। আর আগস্ট মাসে দেশের মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমেছে। গত মাসের দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিং উইং’র মূল্য ও মজুরি পরিসংখ্যান শাখা থেকে আগস্টের মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

এর আগে, জুলাই মাসে দেশে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। জুলাই মাসের তুলনায় আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ১.১৭ শতাংশ কমেছে। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ।

বিবিএস’র তথ্যানুসারে, গত জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১১.৬৬ শতাংশ। যা আগস্টে কমে দাঁড়িয়েছে ১০.৪৯ শতাংশে। এ ছাড়া, আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ১১.৩৬ শতাংশে, যা জুলাই মাসে ছিল ১৪.১০ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত খাতের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। এ খাতে জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৬৮ শতাংশ, যা আগস্টে কিছু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৭৪ শতাংশে।

গত ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই বিক্ষোভ পরে রূপ নেয় ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে। এতে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
 
জুলাইয়ের একটি বড় সময় আন্দোলন এবং আন্দোলন প্রতিহত করতে দেশব্যাপী কারফিউ জারি করা হয়। এতে পণ্য সরবরাহ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। ধারণা করা হচ্ছে, সেই মাসে আন্দোলন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণেই মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পায়।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দেশের দায়িত্ব নেয়। গত ২৫ আগস্ট মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য নীতি সুদহার ৫০ পয়েন্ট বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে সুদহার ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়  ৯ শতাংশ।

এর আগে, গত ৮ মে পলিসি রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছিল। সেই সময় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রেসক্রিপশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই হার বাড়ানো হয়েছিল।

এ ছাড়া, স্ট্যান্ডিং ল্যান্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ) রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) রেট একইভাবে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭.৫০ শতাংশ করা হয়েছে।

২০২২ সালের মে থেকে পলিসি রেট বেশ কয়েকবার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যার ফলে সামগ্রিক সুদের হার বেড়েছে এবং ঋণ নেওয়া ব্যয়বহুল হয়েছে।