১০০০ টাকা ছুঁয়েছে কাঁচা মরিচের দাম
বন্যার কারণে গত কয়েকদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কে যান চলাচল প্রায় বন্ধ। ৪৫ কিলোমিটার জুড়ে জ্যাম পড়ে গেছে সড়কে। ফলে সরবরাহ সংকট সৃষ্টি হওয়ায় চট্টগ্রামে কাচাঁবাজারে সবজি ও কাঁচা মরিচের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোনো কোনো খুচরা অসাধু বিক্রেতা এর চেয়েও বেশি দামে বিক্রি করছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রামের বাজারে অধিকাংশ সবজি আসে বগুড়া, ফরিদপুর, জামালপুরসহ দূরের বিভিন্ন জেলা থেকে। গত কয়েকদিন দিন কাঁচা মরিচসহ সবজি আসছে না। ফলে বাজারে সংকট দেখা দিয়েছে। এ সুযোগে কয়েকগুণ দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন অসাধু খুচরা বিক্রেতারা।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক (চট্টগ্রাম) মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ বলেন, কাঁচা মরিজ বাজারে সরবরাহ না থাকলে দাম বাড়তি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা বেশকিছু অভিযোগ পেয়েছি। বাজারে অভিযান পরিচালনা করে অসাধুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরেজমিনে নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, সামান্য কয়েকজন খুচরা বিক্রেতা সীমিত পরিমাণ দেশি কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন। এসব দোকানে প্রতি ১০০ গ্রাম মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।
কবিরুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, বন্যার সুযোগে কাঁচা মরিচের দাম বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করেছে ব্যবসায়ীরা। বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে। তিনি বলেন, মানুষের অন্তত বিবেকবোধ থাকা উচিৎ। একদিকে বন্যা হচ্ছে, আরেকদিকে এসব লোক ফায়দা লুটছে।
অন্য আরেক ক্রেতা বলেন, বৃহস্পতিবার ১০০ গ্রাম নিয়েছিলাম ৩৫ টাকা দিয়ে। আর এখন বাজারে ১০০০ টাকা কেজি দাম চাইছে।
রেয়াজুদ্দিন বাজারের মেসার্স মেম্বার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী নুরুল ইসলাম বলেন, বাজারে গত দু-তিন দিন কাঁচা মরিচ না আসায় সংকট সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কে পানির কারণে দূরের জেলা থেকে সবজি ও মরিচ আনা সম্ভব হচ্ছে না। বৃহস্পতি ও শুক্রবার প্রতি কেজির দাম ১৭০ থেকে ২৮০ টাকার মধ্যে ছিল। এখান বাজারে কাঁচা মরিচ নাই।
তবে শুধু কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে এমন নয়। সেইসঙ্গে বেড়েছে প্রায় সকল প্রকারের সবজির দাম।