ভারত থেকে আমদানি করায় কাঁচা মরিচের দাম কমলো ৬০-১০০ টাকা
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসছে কাঁচা মরিচ। আমদানি বাড়ায় স্থানীয় বাজারে কমেছে এই ভোগ্যপণ্যটির দাম। ১৮০ থেকে ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে দেশি ও বিদেশি মরিচ। প্রতি কেজিতে কমেছে ৬০ থেকে ১০০ টাকা।
যশোরের শার্শা ও বেনাপোলসহ দেশের বাজারে কাঁচা মরিচ সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দিন আগে দাম বেড়ে যায়। ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় মরিচ।
বাজার মনিটরিং না থাকায় ইচ্ছেমতো দাম নিচ্ছে ব্যাবসায়ীরা, এমন অভিযোগ ক্রেতাদের। তবে বেনাপোলসহ দেশের শুল্কস্টেশন দিয়ে ভারতীয় মরিচ আমদানি বাড়ায় কমেছে দাম। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে বাজারে। তবে দাম আরও কমানোর দাবি ক্রেতাদের।
ব্যাবসায়ীরা জানান, মরিচ সংকটের কারণে দাম বেড়েছে। ভারতীয় মরিচ আমদানি বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে। বেনাপোল বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান, প্রতিদিন এ বন্দর দিয়ে ১ বা ২ ট্রাক মরিচ আমদানি হয়। তবে বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় গত দুই দিনে আমদানি বেড়েছে। গত শনিবার এসেছে ৫ ট্রাক কাঁচা মরিচ। আর গতকাল রোববার এসেছে ২৫ ট্রাক, যার পরিমাণ ৮৯ টন ৩৭০ কেজি।
এদিকে ভারত থেকে কাঁচা মরিচের আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হিলিতেও কমতে শুরু করেছে কাঁচা মরিচের দাম। বন্দরে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে। যা দুই দিন আগে বিক্রি হয়েছিল ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। হিলি কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে। ফলে কেজিতে পাইকারি কমেছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, আর খুচরায় কমেছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে দেশি কাঁচা মরিচের ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় কাঁচা মরিচের সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। সংকটের কারণে বাজারে দাম বাড়ছে মরিচের। কাঁচা মরিচের আমদানি অব্যাহত থাকলে সামনের দিনে আরও দাম কমে আসবে বলে মনে করেন তাঁরা। মূলত আমদানির ওপর নির্ভর করছে দাম।
স্বাভাবিক সময়ে হিলি স্থল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৫ ট্রাক কাঁচা মরিচ আমদানি হয়। তবে গত দুই দিন থেকে আমদানি বেড়েছে। দুই দিনে প্রায় ৪০ ট্রাক কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে, যার পরিমাণ প্রায় ৪৫০ মেট্রিক টন।