বাজেট-প্রণেতাদের সঙ্গে জনগণের সংযোগ সূত্র হিসেবে কাজ করতে পারে
বাংলাদেশে সম্ভাবনাগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের বিকল্প নেই। এজন্য জাতীয় বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহন বাড়াতেই হবে। গণমাধ্যম এক্ষেত্রে বাজেট-প্রণেতাদের সঙ্গে জনগণের সংযোগ সূত্র হিসেবে কাজ করতে পারে। তবে সেজন্য গণমাধ্যমকেও তাদের বিশ্লেষণী দক্ষতা ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে যেতে হবে।
ঢাকায় উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে মঙ্গলবার ‘গণমাধ্যমের সাথে প্রাক-বাজেট মতবিনিময়’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. আতিউর রহমান বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ছাড় দিতে হলেও দুর্ভাবনার কিছু নেই। কেননা এই মূহুর্তে প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর চেয়ে মূল্যস্ফীতি কমানো জরুরি। আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের দেওয়া প্রণোদনা এই মুহুর্তে উঠিয়ে নেওয়া ঠিক হবে না। অস্থির বিশ্ববাজারে টিকে থাকার পোশাক রপ্তানিতে প্রণোদনা চালু রাখা দরকার।
উন্নয়ন সমন্বয় কার্যালয়ে সভায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্সের সদস্য সচিব জাহিদ রহমান ও ব্যাংক এশিয়ান হেড অফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ সিদ্দিক ইসলাম। সংসদ সদস্য ও অংশীজনদের বাজেট বিষয়ে তথ্য ও গবেষণা সহযোগিতা দিতে ব্যাংক এশিয়া ও উন্নয়ন সমন্বয় যৌথভাবে ‘আমাদের সংসদ” কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এর অংশ হিসেবে এ মতবিনিময় সভা হয়।