ভারত থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ মে ২০২৪, ১১:৩৩ AM

গত বছরের ডিসেম্বরে হঠাৎ পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত। এ বছরের মার্চে এই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও চলতি মে মাসে এসে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় দেশটি। এদিকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছে বন্দরের প্রায় ৮টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর আমদানির অনুমতি দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের খামারবাড়িতে ইমপোর্ট পারমিটের (আইপি) জন্য আবেদন করার পর তাদের এই অনুমতি দেওয়া হয়।

সোমবার (৬ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধের উপসহকারী ইউসুফ আলী।

তিনি বলেন, শনিবার (৪ মে) থেকে অনেকেই খামারবাড়িতে পেঁয়াজ আমদানি অনুমতি পত্রের জন্য আবেদন করেন। এদের মধ্য রোববার (৫ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৮টি প্রতিষ্ঠান ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছে। আরও আবেদন রয়েছে যেগুলো এখনও প্রক্রিয়াধীন।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শাহিনুর রেজা শাহিন বলেন, ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর আমরা হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানির জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। দুই একদিনের মধ্যে পেঁয়াজ বাংলাদেশে ঢুকবে। তবে পেঁয়াজ আমদানিতে বন্দরের আমদানিকারকদের বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে। যদি দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে ভারতের রপ্তানি মূল্য ও বাংলাদেশের পেঁয়াজের উপর আরোপকৃত শুল্ক কমানো গেলে পেঁয়াজ আমদানি করে বাজার স্বাভাবিক রাখা সম্ভব।

তিনি আরও জানান, ভারত থেকে টন প্রতি ৫৫০ ডলারে পেঁয়াজ আমদানি করলে প্রতিকেজি পেঁয়াজের আমদানি খরচ পড়বে প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ টাকা।

এদিকে আমদানির খবরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। দুদিন আগেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ খুচরা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকা কেজি দরে। পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৭ থেকে ৫৮ টাকার মধ্যে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে দাম কমতে শুরু করেছে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক এক ব্যবসায়ী জানান, ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। এখন তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন পেঁয়াজ আমদানির জন্য। আজ রোববার তারা ব্যাংকে এলসি করবেন। এলসি খোলা সম্পন্ন হলেই আগামী সোম অথবা মঙ্গলবার থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে।

হিলি বাজারের এক পেঁয়াজ বিক্রেতা জানান, দেশি পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে বাজারে। সেই তুলনায় বিক্রি নেই। তাঁর মতে, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে ক্রেতাদের মধ্যে একটি চিন্তা কাজ করছে, ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলেই  দাম অনেকটা কমে আসবে। বর্তমানে তাদের পেঁয়াজ বিক্রি করে লস হচ্ছে। তিনি পাইকারি প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬৪ টাকা কেজি দরে কিনেছেন তিন থেকে চার দিন আগে। এখন তাঁকে ৫৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা এক ব্যক্তি জানান, তিনি বাজারে এসেছেন পেঁয়াজ কিনতে। তাঁর মতে এখনও পেঁয়াজের দাম চড়া। ১৫ থেকে ২০ দিন আগে তিনি প্রতি কেজি পেঁয়াজ চল্লিশ টাকা দরে কিনেছিলেন। এখন সেটা ৭০ টাকা। এ কারণে তাঁর প্রয়োজনের চেয়ে কম পরিমাণে পেঁয়াজ কিনেছেন।